কাশ্মীরে এক দশকের যত সন্ত্রাসী হামলা
ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল কাশ্মীরে অনেক বছর ধরে রাজনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠনগুলো কয়েক দশকে বেশ কিছু হামলার করেছে অঞ্চলটিতে। ছবিঘরে জানুন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বড় হামলাগুলোর কয়েকটি।
শ্রীনগর গ্রেনেড হামলা, নভেম্বর ২০২৪
২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর কাশ্মীরের শ্রীনগরের জনাকীর্ণ বাজার লাল চকে জঙ্গিরা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এর একটি বাংকার লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায়। তবে বাংকারে না পড়ে গ্রেনেড গিয়ে পড়ে রাস্তার পাশে এবং সেটা বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ১১ জন আহত হন। হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সংগঠন। তবে এর একদিন আগেই শ্রীনগরে লস্কর-ই-তৈয়বার এক উচ্চপদস্থ কমান্ডারকে হত্যা করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
টানেল নির্মাণস্থল হামলা, অক্টোবর ২০২৪
সোনামার্গ রিসোর্ট শহরের পাশে একটি নির্মাণাধীন টানেলে ছয় অভিবাসী শ্রমিক এবং একজন ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গুলিতে আহত হন আরো অন্তত পাঁচ জন। হামলার দায় স্বীকার করে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের একটি সংগঠন।
তীর্থযাত্রীবাহী বাসে হামলা, জুন ২০২৪
হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নিয়ে শিব খোরি গুহা থেকে কাটরা যাচ্ছিলো বাসটি। রেয়াসি জেলায় বাসে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হামলার পর সেটি খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৩৩ জন। টিআরএফ শুরুতে দায় স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তা অস্বীকার করে। পুলিশের ধারণা, এই হামলায় লস্কর-ই-তৈয়বা জড়িত ছিল।
পর্যটক দম্পতির ওপর হামলা, মে ২০২৪
ভারতের জয়পুর থেকে কাশ্মীরের পর্যটন গন্তব্য পহেলগামে বেড়াতে আসা এক দম্পতির ওপর গুলি চালায় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা। তারা গুরুতর আহত হলেও ঘোড়ায় চড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কোনো সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
পুলওয়ামা হামলা, ফেব্রুয়ারি ২০১৯
কাশ্মীর অঞ্চলে এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর একটি বলে বিবেচনা করা হয় পুলওয়ামা হামলার ঘটনাকে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ সদস্যদের বহনকারী একটি বাসে গাড়িবোমা নিয়ে আত্মঘাতি হামলা চালায় এক সন্ত্রাসী। অন্তত ৪৪ জন এতে নিহত হন। পরবর্তীতে হামলাকারীকে আদিল আহমেদ দার নামে চিহ্নিত করার দাবি করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে।
অমরনাথে তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা, জুলাই ২০১৭
জম্মু ও কাশ্মীরের আনানতাং শহরে চালানো এ হামলায় অন্তত সাত হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন, ১৯ জন আহত হন। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী লস্কর-ই-তৈয়বার চার সদস্যকে হামলা চালানোর জন্য দায়ী করলেও জঙ্গি সংগঠনটি এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে।
উরি হামলা, সেপ্টেম্বর ২০১৬
পাকিস্তানের সাথে বিতর্কিত সীমান্তের কাছে উরি শহর। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় অন্তত ১৭ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন।
এডিকে/জেডএ (রয়টার্স)