কারা গুলি চালালো সেনা ছাউনিতে?
১৩ এপ্রিল ২০২৩বুধবার প্রাথমিক খবরে জানা গেছিল, পঞ্জাবের ভাটিন্ডার সেনা ছাউনির ভিতরেই কেউ গুলি চালিয়েছে। যার জেরে চার জওয়ানের মৃত্যু হয়। কিন্তু বুধবার বেলার দিকে স্থানীয় পুলিশের কাছে যে রিপোর্ট লেখানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, দুইজন মুখোশ পরা ব্যক্তি সেনা ছাউনিতে ঢুকে একটি ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালায়। তাতেই চার জনের মৃত্যু হয়। গুলি চালিয়ে রাইফেলটি ফেলে রেখে তারা পাশের জঙ্গলে পালিয়ে যায়। সারা দিন তল্লাশি চালিয়েও তাদের ধরা যায়নি।
সেনার এই রিপোর্ট থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান সীমান্তের এই সেনা ছাউনিতে ২৪ ঘণ্টা গার্ড থাকার কথা। সেই সশস্ত্র রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে মুখোশ পরা দুই ব্যক্তি ভিতরে ঢুকে পড়ল? গুলি চালিয়ে, চারজনকে খতম করে কী করে তারা বিনা বাধায় জঙ্গলের রাস্তায় পালিয়ে গেল? কেন তাদের ধরা গেল না?
এফআইআর-এ বলা হয়েছে, একটি ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি করা হয়েছে। ওই ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক মুপডি হরিশের নামে গত ৩১ মার্চ ওই রাইফেল ইস্যু করা হয়। গত ৯ এপ্রিল তা হারিয়ে যায়। সঙ্গে প্রচুর গুলিও খোয়া যায়। সেই রাইফেলটি এনেই এদিন গুলি করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। যে ২৪ রাউন্ড গুলির খোল ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল, তা-ও খোয়া যাওয়া গুলি বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বাহিনীর ভিতরেই প্রশ্ন উঠেছে, খোয়া যাওয়া ৭৭ নম্বর রাইফেলেরই যে গুলি ওগুলো, তা এত স্পষ্টভাবে কী করে দাবি করা হচ্ছে?
প্রশ্ন উঠেছে, ভোর সাড়ে চারটের সময় ঘটনাটি ঘটেছে। চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। বেলা তিনটের সময় গিয়ে কেন প্রথম রিপোর্ট বা এফআইআর লেখানো হলো? কেন আগেই থানাকে খবর দেওয়া হলো না? কেন দীর্ঘক্ষণ জানাই গেল না, কীভাবে গুলি চলেছে?
সেনার উচ্চপদস্থ অফিসারেরা গোটা বিষয়টির তদন্ত করছেন। বুধবারই একটি অডিট হয়েছে। সেখানেই এই প্রশ্নগুলি উঠেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)