কলকাতা রাজভবনের অন্দরে
একসময় ছিল লাটভবন, এখন রাজভবন। সেই রাজভবনই খুলে দেয়া হলো সাধারণ মানুষের জন্য।
দীর্ঘ ইতিহাস
তৈরি শুরু হয় ১৭৯৯ সালে। শেষ হয় ১৮০৩ সালে। প্রথমে এখানে থাকতেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেল। তারপর যখন কোম্পানির শাসন শেষ হলো, তখনো এখান থেকেই ভারত শাসন করতেন গভর্নর জেনারেল বা বড়লাটরা। রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে যাওয়ার পর অবশ্য গভর্নর জেনারেলও দিল্লি চলে যান। স্বাধীনতার পর এই ভবন রাজ্যপালদের আবাস। ২৩ একর জমিতে ৮৪ হাজার বর্গফুটের রাজকীয় প্রাসাদ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৬৩ হাজার ২৯১ পাউন্ড।
খুলে দিলেন আনন্দ বোস
বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দ বোস এই রাজভবন সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো তিনি কলকাতা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে বলেন, রাজভবনে হেরিটেজ ওয়াকের ব্যবস্থা করতে। সেই হেরিটেজ ওয়াক শুরু হলো বাংলা নববর্ষের দিন। মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে নাম লিখিয়ে সপ্তাহে একদিন হেরিটেজ ওয়াকে অংশ নেয়া যাবে। প্রথম দিনের ওয়াকে সামান্য সময় ছিলেন রাজ্যপালও।
কার্জন লিফট
এই লিফটটি লর্ড কার্জন বসিয়েছিলেন। তিনিই রাজভবনে বিদ্যুৎ ও লিফট আনেন। অ্যামেরিকায় লিফট চালুর দশ বছরের মধ্যে কলকাতাতেও চলে আসে লিফট। এই লিফটকে বলা হয় বার্ড কেজ লিফট। অলঙ্করণ করা সুন্দর দেখতে ছোট লিফটটি সেসময়ের স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
চাইনিজ ক্যানন
এই কামান এসেছিল চীন থেকে। ১৮৪২ সালে চীনের নানকিং থেকে এই কামান আনা হয়। ড্রাগনের উপর বসানো কামানটি।
ঘোড়ার গাড়ি
গভর্নর জেনারেলের ব্যবহার করা গোড়ার গাড়ি। ঐতিহাসিক গাড়িটি দেখা যাবে হেরিটেজ ওয়াকে।
রাজভবন লাইব্রেরি
রাজভবনের একতলাতেই আছে এই লাইব্রেরি। ১১ হাজারের মতো বই আছে এখানে। প্রচুর দুর্মূল্য ও অসাধারণ বই আছে। রাজ্যপালদের ব্যবহার করা, রেখে যাওয়া বই আছে। তাদের হাতের লেখা রয়েছে সেখানে। এমন বইও আছে, যা এখন খুব কম স্থানেই রয়েছে।
রাজভবনের সিঁড়ি
এই হলো রাজভবনের বিখ্যাত সিঁড়ি। সেই সময় তৈরি করা এই সিঁড়ির আলাদা সৌন্দর্য আছে।
আছেন রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথের হাতের লেখা দেখার সৌভাগ্যও হবে এই হেরিজেট ওয়াকে।
আছে পালকি
এই পালকি একসময় ব্যবহার করেছেন গভর্নর জেনারেলরা। এক টুকরো ইতিহাস ধরা আছেএখানে।
হাতে টানা রিকশা
হাতে টানা এই রিকশাটিও ব্যবহার করেছেন গভর্নর জেনারেলরা।
রাজ্যপালের গাড়ি
রাজ্যপালদের ব্যবহার করা গাড়ি। বিএমডাব্লিউ কোম্পানির।
পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন
রাজভবনে প্রচুর পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে। এমনই একটি অসাধারণ পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখা য়াবে হেরিটেজ ওয়াকে।
এখানেই শপথ নেন রাজ্যপালরা
এই জায়াগায় সাধারণত শপথ নেন রাজ্যপালরা। রাজভবনে সবকিছুর জন্য আলাদা জায়গা আছে।
রাজ্যপালের ভোজনকক্ষ
এটাই রাজ্যপালের ভোজনকক্ষ। অতিথিদের সঙ্গেও এখানে খাওয়াদাওয়া করেন তিনি। ব্রিটিশ ঐতিহ্যের বেশ কিছুটা রেশ রয়ে গেছে এখনো।