কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোর ছবি নিয়ে প্রদর্শনী
কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বনেদি বাড়ির পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, আবেগ ও নস্টালজিয়া।
বনেদি বাড়ির পুজো মানে ঐতিহ্যের ঝলক
‘বনেদি বাড়ি পুজো’। এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ঐতিহ্য, সাবেকিয়ানায় মেশা এক পুরাতনি ঘরানার গন্ধ। যে পুজোগুলো আজও বাংলার নানান অঞ্চলে উদযাপিত হয় উত্তরসূরিদের হাত ধরে। এই বাড়িগুলির ছবি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রদর্শনী হয়ে গেল কলকাতায়।
আলতামিরা আর্ট গ্যালারিতে
এই প্রদর্শনী হয়েছিল আলতামিরা আর্ট গ্যালারিতে। এই ছবিতে অন্তম আয়োজক,সুরিত দত্তের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আলতামিরা আর্ট গ্যালারির কর্ণধার রঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন
প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ি এবং ভোলানাথ ধামের দুই প্রবীণ সদস্য প্রবীরকৃষ্ণ দেব এবং ভোলানাথ দত্ত।
আয়োজকের কথা
আয়োজক সুরিত দত্ত’র কথায়, বনেদিবাড়ির পূজার আচার তাকে বরাবর আকর্ষণ করত। সেই টানেই তিনি বনেদিবাড়ির পুজোর ছবি তোলা শুরু করেন। এরপর তা প্রতিবছরের নিয়মের মতো হয় যায়।
শ্রাবন্তী যা বললেন
অন্যতম আয়োজক শ্রাবন্তী মিত্র বলেন, “পুজো ছাড়াও বছরের অন্য একটা সময়ে পুজোর গন্ধ মনে ফুটিয়ে তুলতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মোবাইল ফোন ছেড়ে মানুষ মুখোমুখি এসে ছবি দেখুক, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
অনেকের ছবি
এই প্রদর্শনীতে শ্রাবন্তী, সুরিত ছাড়াও আরো অনেক চিত্রগ্রাহকের তোলা ছবি স্থান পেয়েছে। আয়োজকরা জানালেন, চিত্রগ্রাহকেরা তাদের আবেদনে এতটা উৎসাহিত হয়ে সাড়া দেবেন তা তারা কল্পনা করেননি।
ছবি বিক্রির ব্যবস্থা
প্রদর্শনীতে ছবি বিক্রির ব্যবস্থাও ছিল। আয়োজকরা জানালেন, বনেদি বাড়িগুলি এবং নির্দিষ্ট ছবির চিত্রগ্রাহকের অনুমতি সাপেক্ষে এই ছবি বিক্রি করা হচ্ছে।
দুই থেকে তিন হাজার টাকা
দুই থেকে তিনহাজার টাকা দাম রাখা ছিল একেকটি ছবির। প্রতিটি ছবির নিচেই লেখা রয়েছে মূল্য। যেগুলি বিক্রি করার অনুমতি নেই সেগুলির নীচে সেকথাও উল্লিখিত রয়েছে।
ছবি দেখার উৎসাহ
তাদের বাড়ির ছবি দেখতে উৎসাহী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দেখে স্বভাবতই খুশি বনেদিবাড়ির বর্তমান প্রজন্ম। তাদের অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন এই প্রদর্শনীতে।
শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিনিধি
নিজের বাড়ির ছবি মন দিয়ে দেখছিলেন শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রবীণতম সদস্য প্রবীরকৃষ্ণ দেব। কলকাতায় একসময় শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রবল প্রভাব ছিল।