কলকাতার পুজোর উদ্বোধনে রোনাল্ডিনহো, উন্মাদনা তুঙ্গে
ফুটবল-পাগল কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে ব্রাজিলের মহান ফুটবলার রোনাল্ডিনহো। তাকে নিয়ে প্রবল উন্মাদনা ছিল।
প্রথমে মারাদোনাকে শ্রদ্ধা
কলকাতায় দুর্গাপুজোর-উদ্বোধন করার আগে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানালেন রোনাল্ডিনহো। শ্রীভূমিতে মারাদোনার মূর্তি আছে। সেখানেই ফুলের তোড়া দেন রোনাল্ডিনহো।
খুশি রোনাল্ডিনহো
তাকে ফুলের স্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান মন্ত্রী সুজিত বসু। কলকাতায় এসে, উৎসবের মেজাজ দেখে রোনাল্ডিনহোকে খুশি দেখাচ্ছিল। তিনি হাতের বিশেষ ভঙ্গিমায় জানিয়ে দিলেন মনের ভাব। দুইবার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন, ব্যালন ডি অঁর জিতেছেন। তিনিই একমাত্র ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপ, কোপা অ্যামেরিকা, কনফেডারেশনস কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা লিবেরতাদোরেস এবং ব্যালন ডি অঁর জিতেছেন বা জয়ী দলে ছিলেন।
পুজোর উদ্বোধন করে
শ্রীভূমির পুজো কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ। এখানে মূর্তির সামনে দাঁড়ালেন রোনাল্ডিনহো। তার হাতে তুলে দেয়া হয় আরতির থালা। তিনি থালাটা সামান্য ঘোরালেন। তারপর সামান্য কয়েকটা কথায় নিজের ভালোলাগা প্রকাশ করেন।
রোনাল্ডিনহোর নাচ
পুজো উদ্বোধনের পর নাচলেনও এই বিখ্যাত ফুটবলার। ফুটবল জীবনে অ্য়াটাকিং মিডফিলডার বা উইংয়ে বেশি খেলতেন। মাঠে তাকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে যেতেন বিপক্ষের ফুটবলাররা। কিন্তু তাকে যখন নাচতে বলা হলো, তখন তিনি প্রথমে সলজ্জ হেসে না বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সঞ্চালিকা এসে হাত ধরে তাকে নিয়ে যান। তারপর সাবলীলভাবে নাচতে দেখা যায় তাকে।
জার্সিতে সই
ব্রাজিলের জার্সিতে সই করেন রোনাল্ডিনহো। পুজো উদ্বোধনের পর বলে শট করতেও দেখা যায় তাকে। ভক্তদের আবদার মেনে সেলফির জন্য পোজও দেন।
সোনার বল
রোনাল্ডিনহোর হাতে তুলে দেয়া হয় সোনার বল। ফুটবল জীবনে প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন। দেশ ও ক্লাবকে প্রচুর ট্রফি এনে দিয়েছেন। বিশ্বকাপ, কোপা অ্যামেরিকা কাপ সহ বহু প্রতিযোগিতা জিতেছেন। সোনার বুট পেয়েছেন। এহেন মহান ফুটবলার সোনার বল পেয়েও যে খুশি হয়েছেন, তা তার হাসি থেকেই স্পষ্ট।
আর কী করলেন
তিনি বাচ্চাদের ফুটবল একাডেমিতে গেছিলেন। বেশ কয়েকটা পুজোর উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার বাটায় একটি ম্যাচেও তিনি উপস্থিত থাকবেন। তার সঙ্গে থাকবেন অভিযেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।
কী বললেন রোনাল্ডিনহো
খুব বেশি কথা বলেননি তিনি। বার কয়েক মাইক হাতে নিয়ে কলকাতায় আসতে পেরে, উৎসবের মজাজ দেখে তিনি যে খুব খুশি হয়েছেন, সেটাই জানিয়েছেন। আর সবসময় মুখে হাসি লেগে ছিল।