কলকাতার তিনটি ইহুদি উপাসনালয়ের গেটে তালা
কলকাতার কেন্দ্রস্থলে আছে তিনটি সিনাগগ। ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পর এখন তিনটির গেটেই তালা পড়েছে।
বেথ এল সিনাগগ
মধ্য কলকাতায় ২৬ পোলক স্ট্রিটের এই সিনাগগটি তৈরি হয়েছিল ১৮৫৬ সালে। অসাধারণ স্থাপত্যের এই উপাসনালয়টির বাইরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। বেথ এল-এর অর্থ হলো ঈশ্বরের ঘর। আপাতত এই উপসনালয় বন্ধ।
নেভেহ শালেমও বন্ধ
এই সিনাগগটি হলো কলকাতার সবচেয়ে পুরনো সিনাগগ। ১৮৩১ সালে তৈরি। এই সিনাগগের দরজাও বন্ধ। এই সিনাগগের দ্বাররক্ষী একজন মুসলিম।
ম্যাগেন ডেভিড সিনাগগও বন্ধ
এই সিনাগগটি হলো ক্যানিং স্ট্রিট ও ব্রেবোর্ন রোডের সংযোগস্থলে। ১৮৮৪ সালে এই সিনাগগটি তৈরি হয়। এখানেও গেটে তালা ঝুলছে।
খোলা শুধু ইহুদি ও বিদেশিদের জন্য
বেথ এল সিনাগগের তালাবন্ধ গেট একবারই খুললো, যখন কয়েকজন বিদেশি এখানে এলেন। তারা বাদ দিয়ে আর কারো জন্য সিনাগগ খোলা হচ্ছে না।
দ্বাররক্ষীর বক্তব্য
বেথ এল সিনাগগের দ্বাররক্ষী জানিয়েছেন, উপর মহলের নির্দেশেই গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। কলকাতার প্রশাসনিক সূত্রও জানাচ্ছে, তারা কোনো ঝুঁকি নিতে চান না। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ার পর এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কলকাতায় ইহুদিরা
কলকাতায় প্রথম ইহুদি আসার খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৭৯৮ সালে। প্রথম যিনি এসেছিলেন তার নাম শ্যালন কোহেন। তারপর অনেক ইহুদি কলকাতায় আসেন। প্রথমে তারা উপাসনার জন্য তৈরি করেন নেভেহ শালেম সিনাগগটি। এই উপসনালয়টি খুবই সাদামাটা। পরে তৈরি দুইটি সিনাগগ স্থাপত্য ও সৌন্দর্যের দিক থেকে নেভেহ সালেমকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
কলকাতায় ইহুদিদের সংখ্যা
একসময় কলকাতায় প্রায় ছয় হাজার ইহুদি থাকতেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইহুদিদের আসা বন্ধ হয়ে য়ায়। বরং অনেকেই চলে যান। কমতে কমতে এখন ইহুদিদের সংখ্যা মাত্র জনা ২৫-৩০ এর মতো।