ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদকদের বাড়িতে তল্লাশি
১ নভেম্বর ২০২২অমিত মালবীয়ার অভিযোগ ছিল, ওয়্যারে প্রকাশিত একটি খবর নিয়ে। মালবীয়ার অভিযোগ, ওয়্যার তার মর্যাদাহানি করেছে। কারণ, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মালবীয়া তার প্রভাব বিস্তার করে টেক জায়েন্ট মেটাকে সামাজিক মাধ্যমের ৭০০টি পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য করেছেন। পরে অবশ্য এই খবরটি ওয়্যার প্রত্যাহার করে নেয়।
অমিত মালবীয়া দুই দিন আগে এই অভিযোগ করেন। তারপর দিল্লি পুলিশ ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সিদ্ধার্থ বরদারাজন এবং সিদ্ধার্থ ভাটিয়া, সম্পাদক এম কে ভেনু ও জাহ্নবী সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, মানহানির অভিযোগ করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ অফিসার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের বাড়ি ও অফিস থেকে কিছু ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করে। কাউকে আটক করা হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারো বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আরেক পুলিশ অফিসার বলেছেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি চেক করা হবে। তদন্ত চলবে। তারপর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
দিল্লি ও মুম্বইতে এই তল্লাশি চলে। এই মামলার তদন্তের জন্য পাঁচটি পুলিশের দল তৈরি করা হয়েছে। দুইটি দল দিল্লিতে তদন্ত করবে. পুনে ও মুম্বইতে দুইটি দল তদন্ত করবে এবং একটি দল বিহারের গয়ায় তদন্ত চালাবে।
এই তল্লাশির একদিন আগে ওয়্যারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে, গবেষক দেবেশ কুমারের বিরুদ্ধে নথিপত্র বিকৃতি ও জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগে বলা হয়েছে, দেবেশ কুমারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রিপোর্ট লেখা হয়েছিল।
পুলিশ এখনো এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো এফআইআর করেনি।
মালবীয়া জানিয়েছেন,অভিযুক্তরা এখনো তার কাছে ক্ষমা চাননি। ২৮ অক্টোবর ওয়্যার টুইট করে জানিয়েছিল, তারা মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর ছেপেছে।
জিএইচ/এসজি (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, হিন্দুস্তান টাইমস)