একের পর এক শিশুর প্রাণ নিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস
কলকাতা কাঁপাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা মারা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন শিশুমৃত্যুর খবর আসছে।
অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর শিশু এখন হাসপাতালে ভর্তি। বেলেঘাটায় বিধানচন্দ্র রায় আইডি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি শিশু ভর্তি আছে। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে এই ভাইরাস আক্রান্তরা আছে।
কেন মারাত্মক এই ভাইরাস
অ্যাডিনোভাইরাস নতুন কোনো ভাইরাস নয়। কিন্তু এর আগে তা এত মারাত্মক ও প্রাণঘাতী ছিল না। বেশ কিছু নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানা গেছে, অ্যাডিনো সাত ও অ্যাডিনো তিন এই দুইটি স্ট্রেন মিলে ভাইরাসটি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।
কী হচ্ছে?
এখনো পর্যন্ত অ্যাডিনোভাইরাসের প্রচুর স্ট্রেন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে এক, দুই, তিন, চার পাঁচ,সাত নম্বর স্ট্রেন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এই ভাইরাস ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায়, মূত্রনালিরও ক্ষতি করে। বাচ্চার জ্বরও হয়।
কতজনের মৃত্যু?
বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্যে তিনজন করে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে টিভি৯-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে। কতজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে সরকার ও বেসরকারি হিসাবে বিস্তর ফারাক আছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা টিভি৯-কে জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন গড়ে তিনজন শিশুর মৃত্যু হত। এখন চারজনের হচ্ছে। জেলাতে নতুন বেড, ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাসপাতালের হাল
বিসিরায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল ভয়ংকর উদ্বিগ্ন বাবা, মা এবং আত্মীয় পরিজনরা অপেক্ষা করছেন। হাসপাতালের জ্বর সংক্রান্ত বিভাগে প্রচুর মানুষের ভিড়। হাসপাতালের ভিতরে থাকার জায়গা অপ্রতুল। তাই খোলা আকাশের নিচে এভাবেই রাত কাটাচ্ছেন অসুস্থ বাচ্চার আত্মীয়রা।
নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
অসুস্থ শিশুদের এইভাবেই হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই অ্যডিনো আক্রান্ত শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
চিকিৎসা চলছে
হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসা চলছে এই শিশুর। অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে জল ও অন্য তরল খেতে বলা হয়।
সুরাইয়া বিবি
সুরাইয়া বিবির আট মাসের ছেলে আইসিইউ-তে আছে। চিন্তায় চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
মর্জিনা বিবি
মর্জিনা বিবির সাত মাসের ছেলে নাতি হাসপাতালে ভর্তি। নাতির শরীর আরো খারাপ হয়েছে শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।