৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের দুয়ার খুলতে থাকে । পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি শুরু হয়। পাকিস্তানের পণ্যবাহী জাহাজ আসে চট্টগ্রাম সমূদ্র বন্দরে। সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, "পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ভালো সম্ভাবনা আছে। তবে সেটা একপাক্ষিক। আমরা আমদানি করি বেশি। চিনি, তুলা, রঙ আমদানির ভালো সম্ভাবনা আছে। কানেক্টিভিটির একটা ভালো সম্ভাবনা আছে, দুই দেশই লাভবান হবে। মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়বে। সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা গেলে, ভারত যদি রাজি হয়, তাহলে আঞ্চলিক সহযোগিতার একটা ভালো সম্ভাবনা আছে। ”
"আর রাজনৈকিভাবে এতদিন ভালো সম্পর্ক ছিল না এখন ভালো হচ্ছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। আমাদের স্বার্থের দিকে নজর রেখেই সম্পর্ক করতে হবে। পাকিস্তান অনেক কিছু চাইতে পারে, ভারত অনেক কিছু চাইতে পারে। কিন্তু আমরা কতটা দিতে পারব কী পারবো না, সেটা আমাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই সম্পর্ক ঠিক করতে হবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে,” বলেন তিনি।
এম হুমায়ুন কবিরের কথা, "এই দাবি আমরা আগেও করেছি। কিন্তু পাকিস্তান দেয়নি। তারপরও আমাদের দাবি জানিয়ে যেতে হবে। আমাদের সম্পদ তো আমরা চাইবোই।”
তিনি আরো বলেন," ১৯৭১ সালে মাহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি গণহত্যার জন্য পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ক্ষমা চায়নি। বাংলাদেশের মানুষের একটা প্রত্যাশা যে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে। একাত্তরে তাদের যে ভূমিকা সেটার দায় তারা গ্রহণ করবে। সেটা হলে দুই দেশের সম্পর্কের পথ আরো প্রশস্ত হবে।”