উত্তপ্ত জয়নগর, পিটিয়ে মারা হলো এক ব্যক্তিকে
নিহত ব্যক্তি তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। জ্বালানো হচ্ছে গ্রাম।
সইফুদ্দিন লস্কর খুন
জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন সোমবার সকালে। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরেই অশান্তি
সইফুদ্দিন খুনের পরেই এলাকাজুড়ে অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের বাহিনী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চড়াও হতে শুরু করে।
সহাবুদ্দিন খুন
অভিযোগ, তৃণমূলের বাহিনী স্থানীয় সহাবুদ্দিন শেখের বাড়িতে চড়াও হয়। তাকে বাড়ির সামনেই মারধর করা শুরু হয়। পিটিয়ে মেরেই ফেলা হয় তাকে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই সহাবুদ্দিন সইফুদ্দিন খুনের সঙ্গে জড়িত।
সহাবুদ্দিনের স্ত্রীর বয়ান
সহাবুদ্দিনের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী শাসকদল অর্থাৎ, তৃণমূল করতেন। গত পঞ্চায়েত ভোটেও তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন।
স্থানীয় তৃণমূলের অভিযোগ
তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএম-এর বাহিনী এই কাজ করেছে। সইফুদ্দিনকে তারাই খুন করেছে। কিন্তু সহাবুদ্দিনের স্ত্রীর বয়ান অন্য কথা বলছে।
পুলিশের বয়ান
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সহাবুদ্দিন দাগি আসামি। পুলিশের খাতায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। আরো এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। মোট চারজন সইফুদ্দিন খুনের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিপিএমের বক্তব্য
সিপিএম প্রথম থেকেই এটি তৃণমূলের অন্তরদ্বন্দ্ব বলে দাবি করে আসছে। এলাকায় সিপিএমের পার্টি অফিস-সহ একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে বাম নেতারা
মঙ্গলবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী-সহ একাধিক বাম নেতা ঘটনাস্থলে গেছেন। তাদের যে কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন, তাদের সঙ্গে দেখা করবেন নেতারা। এলাকা এখনো থমথমে। তবে রাতের পর থেকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া।