ইসরায়েলে বাসে বিস্ফোরণ, পশ্চিম তীরে নেতানিয়াহুর আক্রমণ
মধ্য ইসরায়েলে একাধিক বাসে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে বাসে কোনো যাত্রী ছিল না। হামাসের পাঠানো পণবন্দির দেহ নিয়ে ধোঁয়াশা।
তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে, তেল আভিভের দক্ষিণ শহরতলিতে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তিনটি বাসই সে সময় খালি ছিল। বাসগুলি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল।
জঙ্গি হামলা
প্রশাসনের বক্তব্য, এই হামলার পিছনে জঙ্গিদের হাত আছে। পুলিশের দাবি, দেশের অন্য প্রান্ত থেকেও বিস্ফোরণের খবর এসেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। গোটা দেশজুড়ে বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। কোথাও কোনো সন্দেহজনক জিনিস দেখলেই পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা ঘিরে রেখে বম্ব স্কোয়াড তল্লাশি চালাচ্ছে।
পশ্চিম তীরে আক্রমণ
বিস্ফোরণের পর পাল্টা আক্রমণের রাস্তা নিয়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরে অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত তাদের ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ
পশ্চিম তীরে অন্তত দুইটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সেনা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। ইসরায়েলের পাল্টা অভিযোগ, বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ওই শরণার্থী শিবিরে লুকিয়ে আছে।
গণপরিবহণ পরীক্ষা করার নির্দেশ
এদিকে ইসরায়েলের পরিবহণমন্ত্রী শুক্রবার সমস্ত গণপরিবহণ পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাস্তায় বার হওয়ার আগে প্রতিটি গণপরিবহণ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেহ নিয়ে সমস্যা
বৃহস্পতিবার চারটি দেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে নয় মাসের শিশু কেফির বিবাস, তার চার বছরের দাদা এরিয়েলের দেহ আছে। পরিবারের সদস্যেরা দেহ শনাক্ত করেছে। কিন্তু তাদের মা শিরি বিবাসের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। যে দেহটি শিরির বলে পাঠানো হয়েছিল, তা শিরির নয় বলে পরিবারের মানুষ জানিয়েছেন।
নয় মাসের শিশুকে হত্যা
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে হামাস শিরির সঙ্গে তার দুই শিশুকে পণবন্দি করে নিয়ে গেছিল। নয় মাসের শিশুকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের অভিযোগ। হত্যা করা হয়েছে চার বছরের শিশুকে। ছবিতে রেড ক্রস তাদের দেহ নিয়ে আসছে।
বন্দি হস্তান্তর স্থান
ইসরায়েলের এই জায়গার নাম দেওয়া হয়েছে বন্দি হস্তান্তর স্থান। গাজা থেকে বন্দিদের অথবা মৃতদেহ প্রথমে তুলে দেওয়া হয় রেড ক্রসের হাতে। রেড ক্রস তা নিয়ে এই জায়গায় এসে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেয়। দুই শিশুর মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সকলে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)