ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি করবে না জার্মানি
৮ আগস্ট ২০২৫ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা দখলের পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পরেই সারা বিশ্বে উঠেছে সমালোচনার ঝড়৷ সে দেশের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেছেন, ‘‘এক বিপর্যয় আরো অনেক বিপর্যয় ডেকে আনবে৷'' হামাসের কাছে জিম্মি ইসরায়েলীদের পরিবার, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীও নেতানিয়াহু সরকারের এ সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী৷
ঠিক তার পরেই জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস জানিয়েছেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে কোনো অস্ত্রের রপ্তানি অনুমোদন করবে না বার্লিন৷ বিশেষ করে সেই অস্ত্র যদি গাজায় ব্যবহার করা হয়৷ ম্যার্ৎস এক বিবৃতিতে বলেন, "হামাস সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। তবে বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির জন্য যথাযথ আলোচনা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার৷’’
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, ইসরায়েলের এবার হামলার তীব্রতা কমানো প্রয়োজন৷ সম্প্রসারণ অভিযান বন্ধ করা প্রয়োজন৷ এক বিবৃতিতে স্টার্মার বলেন, ‘‘গাজায় হামলা তীব্র করা ইসরায়েল সরকারের বড় ভুল৷ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি৷'' তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ঠিক এই সময়েই অ্যামেরিকা গাজা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে৷ গত সেপ্টেম্বরে স্টার্মার জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল যদি গাজায় ত্রাণ যথাযথভাবে প্রবেশ করতে না দেয়, এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয়, তবে ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ব্রিটেন৷
ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়াও৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং-এর মতে, ‘‘মানবতার খাতিরে গাজা দখলের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকা উচিত নেতানিয়াহুর৷'' শুক্রবার গাজা দখলের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে চীনও৷ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজা ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷
এসটি/এসিবি
এসটি/এসিবি