ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে খুশি গেটস
২৯ জুলাই ২০০৯এরপর তিনি বৈঠক করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আব্দেল কাদের ওবাইদির সাথে৷
ইরাকের নিরাপত্তা প্রশ্নে ইতিবাচক মন্তব্য গেটসের
এই ঝটিকা সফরে এসে ইরাকের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক ধারণা পেয়েছেন গেটস৷ ইরাকের শহরগুলো থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ৩০ জুন শেষ হয়েছে৷ এই সেনা প্রত্যাহারের পর ইরাকি বাহিনীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টিকে সত্যিকার অর্থেই ইরাকিদের ক্ষমতায়ন বলে অভিহিত করেছেন তিনি৷ গেটস বলেন, ইরাকি বাহিনী শহরগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্বভার নেয়ায় ইরাকের শহরগুলো থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ফলপ্রসূ হয়েছে৷
তিনি বলেন, ইরাকে মার্কিন কমান্ডার ওডিয়ার্নো এবং আমি এখানকার শহরগুলোতে নিরাপত্তা বিধানে ইরাকি বাহিনীর ভূমিকায় আশ্বস্ত হয়েছি৷ শীঘ্রই তারা গোটা জাতির নিরাপত্তা বিধানে দায়িত্ব নিতে পারবে৷ তবুও প্রয়োজন হলে সহযোগিতার হাত বাড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি৷ ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গেটস বলেন, ইরাকের সীমান্ত সমস্যাসহ তেল-গ্যাস সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব কিংবা জটিলতার ক্ষেত্রেও আমরা পাশে রয়েছি৷ ইরাক যেন জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায় সেলক্ষ্যে মার্কিন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন গেটস৷
ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করার প্রচেষ্টা
গেটস নেতৃবৃন্দের সাথে ইরাকে অস্ত্র বিক্রি নিয়েও আলোচনা করেন বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ৷ গেটসের সাথে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মালিকি বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত করে তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা আমেরিকার সাথে একযোগে কাজ করতে চাই৷ বিশেষ করে বিমান বাহিনীকে যুদ্ধ বিমান দিয়ে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে৷ মালিকি বলেন, বিদেশী হুমকি থেকে নিজেদের রক্ষার জন্যই মূলত ইরাক এসব অস্ত্র পেতে চায়৷
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওবাইদি এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১১ সালের মধ্যে আমাদের আকাশ সীমার নিরাপত্তা বিধানে অবশ্যই যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করতে হবে৷ তবে যুদ্ধ বিমান কেনার ক্ষেত্রে তাদের সামনে অপরাপর পথও খোলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবাইদি৷
গেটসের সফরকালে বাগদাদে সহিংসতা
এদিকে, গেটস যখন বাগদাদে ইরাকি নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করছিলেন, তখন সেখানে মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শত শত ইরাকি৷ মূলত, শিয়া নেতা মোক্তাদা আল সদরের সমর্থকরা ইরাকি পতাকা হাতে নিয়ে সেখানে মার্কিন উপস্থিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ বিক্ষোভের সময় তাদের হাতে ছিল মোক্তাদা আল সদরের ছবি৷ মুখে শ্লোগান দিচ্ছিল, ‘না, আমেরিকাকে না বলুন৷' এছাড়া গেটসের ইরাক সফরকালে বাগদাদের দু'টি জায়গায় বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছে ৪২ জন৷ বোমা হামলা দু'টি হয় একটি সিনেমা হলের সামনে এবং আরেকটি জনপ্রিয় কফি হাউসের মধ্যে৷
প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী