ইউরোপে পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য ডুব্রোভনিক
১৪ আগস্ট ২০২৫সামাজিক মাধ্যমে এই শহরের দারুণ সব ছবি দেখা যায়৷ কিন্তু শহরটি কি বাস্তবে দেখতে আসলেই সুন্দর? সেটি জানতে এখন আমরা আপনাদের ঐ শহরে নিয়ে যাচ্ছি৷
মধ্যযুগীয় শহর ডুব্রোভনিকের কেন্দ্রস্থলটি ১৯৭৯ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত৷ ‘গেম অফ থ্রোনস' ফ্যান্টাসি টিভি সিরিজের জন্য ২০১১ সালে শহরটি আন্তর্জাতিক পরিচিতি অর্জন করে৷
সে কারণে ডুব্রোভনিক এখন ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যের একটি৷ সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকেরা সেখানে যান, সম্ভবত অনেক বেশিই যান! ডুব্রোভনিকের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার৷ তবে পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী সেখানে যান৷
এখন প্রথম হটস্পটের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময়: পুরান ডুব্রোভনিক শহরের দেওয়াল - সেখান থেকে পুরান শহরের দারুন প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়৷
দেওয়ালগুলো অষ্টম শতকের প্রথম দিকে নির্মিত এক দুর্গের অংশ ছিল বলে জানা যায়৷ বর্তমানে এগুলো ইউরোপের সবচেয়ে সংরক্ষিত মধ্যযুগীয় দেওয়ালগুলোর মধ্যে একটি৷ মোট ১৬টি টাওয়ার এবং তিনটি দুর্গ আছে, উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫ মিটার৷
‘গেম অফ থ্রোনস'-এর কারণে অনেক পর্যটক দেওয়ালগুলো চিনতে পারেন৷ তবে স্থানীয়রা বলছেন, তারা চান না যে সিরিজটি শহরের ইতিহাসকে ঢেকে রাখুক৷ স্থানীয় এক নারী বলছেন, ‘‘হ্যাঁ, ধারণার পরিবর্তন, কারণ, এখন বেশিরভাগ মানুষই ‘গেম অফ থ্রোনস'-এর কারণে আসছেন৷ কিন্তু আমি চাই মানুষ দেওয়ালের ইতিহাস জানুক, শুধু সিরিজের মধ্য দিয়ে শহরটি না দেখুক৷''
দেওয়ালগুলো প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এবং এগুলো পুরান শহরকে ঘিরে রয়েছে৷ আমরা মনে করি, দেওয়াল ধরে হাঁটলে আপনি পুরান শহরে কী কী আছে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন৷
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য, পুরান শহরের প্রধান পথচারী রাস্তা: স্ট্রাডুন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর অনেক সুন্দর ছবি দেখা যায়৷ কিন্তু বাস্তবে এটি কেমন?
রাস্তাটি পুরনো শহরের মধ্য দিয়ে গেছে৷ এর দুই পাশে আপনি দোকান, ক্যাফে এবং একটি প্রাসাদ দেখতে পাবেন৷ রাস্তার ধারের ভবনগুলো সবই ১৬৬৭ সালে একটি বড় ভূমিকম্পের পর নির্মিত হয়েছিল৷
স্ট্রাডুনের শেষপ্রান্তে অবস্থিত মনোরম পুরনো বন্দরটি অবশ্যই দেখা উচিত৷ ১৫ শতকে চালু হওয়া বন্দরটি আজও ব্যবহার হচ্ছে৷ কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম করার দারুণ এক জায়গা৷
এবার তৃতীয় হটস্পটে যাওয়ার সময়: মাউন্ট সার্জ৷
প্রতি বছর চার লাখের বেশি দর্শনার্থী এই কেবল কারে চড়ে ডুব্রোভনিকের স্থানীয় পাহাড়ে বেড়াতে যান৷ যাত্রাপথটি মাত্র চার মিনিটের৷ রাউন্ড ট্রিপ টিকিটের দাম ২৭ ইউরো৷
একবার উপরে উঠলে আপনি বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন৷ সূর্যাস্তের সময়কার আলোর দৃশ্য অবিশ্বাস্য৷
এবার তিনটি হটস্পট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানোর পালা৷
শহরের ঐতিহাসিক দেওয়াল, পুরান শহরের প্রধান পথচারী রাস্তা এবং মাউন্ট সার্জ থেকে দেখা দৃশ্য, সবকিছুই ছবিতে দেখা যাওয়ার মতোই সুন্দর!
থিওডোরা মাভ্রোপোলোস/জেডএইচ