ইউরোপের শহরগুলোতে তীব্র গরম ও বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে
১৫ এপ্রিল ২০২৫ইইউর কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মহাদেশটির লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ছেন৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে৷ যেমন গত অক্টোবর ও নভেম্বরে স্পেনের ভ্যালেনসিয়ায় বন্যায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন৷ তার ঠিক এক মাস আগে বোরিস ঝড়ে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের আটটি দেশের বিভিন্ন শহরে বন্যা হয়৷ এতে চার লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হন৷ প্রতিবেদনে এছাড়াও বলা হয়েছে, একদিকে পূর্ব ইউরোপে তীব্র তাপদাহ এবং দক্ষিণ ইউরোপে শীতকালে দীর্ঘস্থায়ী খরা ছিল৷
বলা হচ্ছে, শহরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ৷ সেখানে শুষ্ক ও শক্ত মাটি বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, অথচ এগুলো দ্রুত বৃষ্টির পানি শোষণ করতে পারে না৷ প্যারিস, মিলান ও গ্লাসগোর মতো শহরগুলো সবুজ এলাকা ও পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখার সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে খাপ খাইয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে৷
‘‘অভিযোজন অপরিহার্য৷ অতি অল্প তাপমাত্রা বৃদ্ধিও আমাদের জীবন, অর্থনীতি ও পৃথিবীর জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়,'' বলেন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান সেলেস্ট সাওলো৷
এতসব ঝুঁকির মধ্যেও একটি ইতিবাচক দিক হলো, ২০২৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইউরোপের ৪৫ শতাংশ শক্তির উত্স হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ সৌর, বায়ু ও বায়োমাসের মতো শক্তি উৎসগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ায় ভবিষ্যতে জলবায়ু ঝুঁকি কমবে৷
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি শহর চরম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে৷
টিম শাউয়েনব্যর্গ/জেডএ