জ্বালানি ও অবকাঠামোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুটিন-ট্রাম্প মতৈক্য
১৯ মার্চ ২০২৫ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুটিন ফোনে কথা বলার পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা এই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এই যুদ্ধবিরতি হবে জ্বালানি ও অবকাঠামো ক্ষেত্রে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে তার খুব ভালো ও কার্যকর আলোচনা হয়েছে।
তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ''আমরা সব জ্বালানিকেন্দ্র ও অবকাঠামোর উপর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একমত হয়েছি। আমরা দ্রুত সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করা নিয়ে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়েও আমরা একমত হয়েছি।''
তবে সীমান্তে যুদ্ধ বন্ধ করতে পুটিন রাজি হননি।
ট্রাম্প বলেছেন, কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে, শান্তিচুক্তিতে কোন বিষয় থাকবে তা নিয়েও কথা হয়েছে। এবার সর্বশক্তি দিয়েএই বিষয়ে আলোচনা হবে।
জেলেনস্কির বক্তব্য
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এই আলোচনার বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিতভাবে জেনে তারপর এই বিষয়ে তার মতামত জানাবেন।
জেলেনস্কি ফিনল্যান্ডে সাংবাদিকদের বলেছেন, ''অ্যামেরিকার কাছ থেকে আগে আমরা জানি, কী কথা হয়েছে, তারপর আমরা মতামত জানাব। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে গ্যারান্টি দিতে হবে। রাশিয়া যতদিন এটা মানবে, ততদিন আমরাও মানব। ''
শলৎস ও মাক্রোঁ যা বললেন
জার্মানির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওলাফ শলৎস বার্লিনে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ''এটা প্রথম ধাপ। এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। তবে এই আংশিক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে আমি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সমর্থন জানাচ্ছি।''
মাক্রোঁকে পাশে নিয়ে শলৎস জানিয়েছেন, ''ইউক্রেন আমাদের বিশ্বাস করতে পারে, ইউরোপকে বিশ্বাস করতে পারে। আমরা তাদের বিশ্বাসের অমর্যাদা করব না।''
মাক্রোঁ বলেছেন, ''আমরা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাকে সমর্থন করে যাব।''
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপিু, রয়টার্স)