‘আয়নাঘর’ এর ভেতর-বাহির
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকজন উপদেষ্টা বুধবার সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতবাদ দমনে বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন৷ আয়নাঘর নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
নির্যাতনের চেয়ার
বন্দিদের নির্যাতন ও জবানবন্দি নেয়ার জন্য এই চেয়ার ব্যবহার করা হতো৷ দুনিয়ার অনেক কুখ্যাত বন্দিশালা যেমন গুয়ান্তানামো বে, আউশভিৎস এর মতো স্থানেও এমন চেয়ার ব্যবহারের কথা উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে৷
স্থম্ভিত উপদেষ্টামন্ডলী
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টারাও৷ তারাসহ আরও অনেকেই বিভিন্ন কামরা পরিদর্শন করেন৷
বন্দিদের জবানবন্দি
৮ বছর পর আয়নাঘর থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর কাছ থেকে আয়নাঘরের ভয়াবহতার কথা শুনছিলেন প্রধান উপদেষ্টা৷
আধার গলি
দুই পাশে ছোট ছোট ঘর, মাঝে করিডোর৷ করিডোরে নিভু নিভু করে জ্বলছে স্বল্প ওয়াটের বৈদ্যুতিক বাতি৷ এখানে বোঝার উপায় নেই দিন নাকি রাত৷
লোহার দরজা
শুধু যে আলো-বাতাস ছাড়া বন্দি ঘর তাই নয়৷ ঘরের দরজা বানানো হয় জেলখানার মতো করে৷ এসব ঘর থেকে বন্দিদের চোখ বেঁধে বাইরে নিয়ে যাওয়া হতো৷
বাংকারের মধ্যে টয়লেট
ঘরের ভিতর ছোট করে তৈরি করা শৌচাগার৷ যেখানে বসতে গেলেও মাথায় ছাদ লেগে যাবে৷ যেখানে থাকার জন্য রাখা হতো তার পাশেই এই শৌচাগার৷
দেয়ালে লেখা দোয়া
বন্দিদের অনেকেই অনেক কিছু লিখে গেছেন আয়নাঘরের দেয়ালগুলোতে৷ যদিও এর অনেক কিছুই মুছে দেয়া হয়েছে পুনরায় রঙ করে৷ কোনো একজন বন্দি দেয়ালে দোয়া লিখে রেখেছিলেন, তা আজও মুছে যায়নি৷
পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে আলামত
সরকারের পতন হচ্ছে বুঝতে পেরেই অনেক আলামত অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ যেগুলো সরাতে পারেনি তার অনেক কিছুই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির প্রতিবেদনে আলামত মুছে ফেলার কথা উল্লেখ করা হয়।