আসামে ওএনজিসি-র খনিতে গ্যাস লিক
১৫ দিন ধরে গ্যাস বার হচ্ছে। পরিস্থিতি পরীক্ষা করতে অ্যামেরিকা থেকে দল এসেছে শিবসাগরে। বহু পরিবারকে গ্রাম থেকে সরানো হয়েছে।
ওএনজিসি-র খনির ঘটনা
আসামের শিবসাগর জেলার রুদ্রসাগর অঞ্চলে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) একটি কুয়ো (রিগ) থেকে গত ১৫ দিন ধরে অনবরত প্রাকৃতিক গ্যাস লিক করছে।
১২ জুনের ঘটনা
গত ১২ জুন হঠাৎ একটি রিগ থেকে প্রচন্ড গতিতে গ্যাস বের হতে শুরু করে। নানা পদ্ধতি ব্যবহার করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ।
নতুন এলাকা
স্থানীয় বিধায়ক অখিল গগৈ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একটি বিরাট প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছে ওএনজিসি। সেখানেই এই রিগ বা কুয়োগুলি তৈরি করা হয়েছিল। তারই একটি থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করেছে।
প্রবল গতিতে বার হচ্ছে গ্যাস
ওএনজিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চারটি প্রক্রিয়ায় একের পর এক অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্যাস লিক বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন তারা। কিন্তু গ্যাস নিঃসরণের গতি এতই বেশি যে কোনো পদ্ধতিই কাজে আসেনি।
বাতাসে মিশছে গ্যাস
হঠাৎ এত বেশি পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, প্রায় ৩৫০টি পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের কাছে তুলে ধরে তাদের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি নিজেও এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ওএনজিসি'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন। আসামের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ওএনজিসি-র বিরুদ্ধে একটি নোটিস জারি করেছে। অভিযোগ, খনি খননের নিয়ম মানেনি ওএনজিসি।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে গ্যাসের ভাণ্ডার সন্ধান করায় ওএনজিসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন। স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ এবং স্থানীয় বিধায়ক অখিল গগৈ।
এসেছে অ্যামেরিকা থেকে দল
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যামেরিকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ওএনজিসি জানিয়েছে, ধীরে ধীরে গ্যাস লিক নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে তারা মনে করছেন।
ভোপালের স্মৃতি
১৯৮৪ সালে ভোপালের কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আসামের ঘটনায় অনেকের সে সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
৫০০ মিটারের দূরত্ব
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, খনি থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না আপাতত। তবে গ্যাস লিক সম্পূর্ণ বন্ধ হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ধীরে ধীরে ফিরতে পারবেন।