আরো গণকবর, আরো লাশ
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯নতুন পাওয়া এ গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরো ১০টি লাশ৷ এর মধ্যে দুইজন মহিলাও রয়েছেন৷ তাদের একজন বিডিআর মহাপরিচালকের স্ত্রী নাজনিন শাকিল৷ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শেখ মোহম্মাদ শাহজালাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১০টি লাশ পেয়েছি৷ তবে আরো উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ উদ্ধার হওয়া লাশগুলো পচে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ কেবল গুলী করে হত্যা নয় বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে লাশগুলোকে বিকৃত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ শাহজালাল৷
শনিবার গণকবর থেকে পাওয়া লাশ সহ নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৬৷ এর আগে শুক্রবার প্রথম গণকবরটি পাওয়া যায় বিডিআর সদর দপ্তরের ভেতরেই৷ সেখান থেকে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ মোট ৩৮ জন সেনা কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়৷ এছাড়া স্যুয়ারেজ লাইন সহ পিলখানার আশপাশের এলাকা থেকেও ২৮টি লাশ উদ্ধার করা হয় যাদের বেশীরভাগই বিডিআর এর সেনা কর্মকর্তা৷
বিডিআর সদস্যদের কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ
এদিকে বিডিআর এর যেসব সদস্য অনুপস্থিত রয়েছে তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আনসার ও সীমান্ত) সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেসনোটে এ নির্দেশ জারি করা হয়৷ প্রেসনোটে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘঠিত বিদ্রোহ ও অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে যেসব বিডিআর সদস্য এখনও ছুটি ব্যতীত বা অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদেরকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব স্ব কর্মস্থলে অথবা বিডিআর সদর দপ্তর বা নিকটস্থ সেক্টর সদর দপ্তর, ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর অথবা নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে৷ এ সময় সীমার মধ্যে রিপোর্ট করতে অথবা কর্মস্থলে যোগদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷
সেনা কর্মকর্তাদের জানাজা স্থগিত
এদিকে সেনা কর্মকর্তাদের জানাজা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে৷ শনিবার আইএসপিআর এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে৷ এর আগে শুক্রবার বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সাত সেনা কর্মকর্তার জানাযার সময় বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ জানাযায় উপস্থিত মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদরা বেশ তোপের মুখে পড়েন সেনা কর্মকর্তাদের৷ এদিকে শনিবার থেকে সারা দেশে তিন দিনের শোক পালন শুরু হয়েছে৷