‘আযম খানের বক্তব্য ছিল সাজানো নাটক’
১০ অক্টোবর ২০১২গত ৯ই এপ্রিল রাতে গাড়ি চালক আযম খান তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুককে ৭৮ লাখ টাকাসহ ধরিয়ে দেন৷ এরপর ১৬ই এপ্রিল রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ তাঁকে করা হয় দপ্তরবিহীন মন্ত্রী৷ এরপর অবশ্য দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অর্থ কেলেঙ্কারির দায় থেকে অব্যহতি দেয়৷ তবে তখন গাড়ির চালক আযম খান নিরপত্তার কারণে আত্মগোপনে থাকায়, তাঁর কোনো বক্তব্য নেয়নি দুদক৷ কিন্তু গত সপ্তাহে আযম খান বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে অজ্ঞাত স্থান থেকে সাক্ষাৎকার দেন৷ তাতে তিনি দাবি করেন যে, ঐ টাকা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ আর তা ছিল রেলে চাকরি দেয়ার জন্য ঘুসের টাকা৷
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গাড়ি চালক আযম খানের ঐ বক্তব্যের পর, আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যকে সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেন৷ তিনি দাবি করেন, রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের জন্যই এতদিন পর এসব করা হচ্ছে৷
তিনি বলেন, যে কোনো ধরণের তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি রাজি আছেন৷ আর তদন্তের সময় তিনি দায়িত্ব থেকেও সরে যাবেন৷ এছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব ‘অপপ্রচার' চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন এই দপ্তরবিহীন মন্ত্রী৷
এদিকে বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের প্রায় সব মানুষ বিশ্বাস করেন যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত৷ তাই কোনোভাবেই এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়া যাবে না৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ