জামায়াতের ইসলামীর স্থানীয় নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তাদের দাবি, হিযবুত তাওহীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷
সোমবার রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছিদামবাজার এলাকায় হিযবুত তাওহীদের নেতা ও সমর্থকদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন৷ সংঘর্ষের সময় বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে৷
হিযবুত তাওহীদের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সোমবার তার বাড়িতে অনেক লোকসমাগমের বিষয়টি অস্বীকার করেননি৷ তার দাবি, সবাই এসেছিলেন তাকে সংবর্ধনা জানাতে, কিন্তু স্থানীয় এক জামায়াত নেতার ইন্ধনে হামলা চালিয়ে সেই অনুষ্ঠান পণ্ড করা হয়েছে, "আমি নতুন বিভাগীয় সভাপতি হওয়ার কারণে আমরা বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আমার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকেই একদিন আগে আমার সংগঠনের মেহমানরা আসেন। কিন্তু রবিবারই স্থানীয় একজন জামায়াত নেতা অনুষ্ঠান বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর আমি থানার ওসি এবং উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতিকে জানাই। স্থানীয় জামায়াতের নেতারা আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, অনুষ্ঠানে বাধা দেয়া হবে না। কিন্ত সোমবার সকালে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আমরা বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়া হয়। তারা মোট চারটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং দুইটি বাড়ি ভাংচুর করে। তারা আটটি গরুও লুট করে নিয়ে যায়। ২০-২৫টি মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।”
আবদুল কুদ্দুসের দাবি, তাদের সংগঠনকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর' ট্যাগ দিয়ে আগেই হামলার হুমকি দেয়া হয়েছিল, "তারা আগে হুমকি দিয়ে বলেছিল, আমরা আওয়ামী স্বৈরারের দোসর, আমাদের কাজ বিতর্কিত। ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নূর আলম হুমকি দেয়ার পর আমার বাড়ির আঙ্গিনায় সাজসজ্জার কাজও আমরা বন্ধ রেখেছিলাম। আমার বাড়িতে কয়েক বছর আগেও হামলা হয়েছিলো৷''
তার অভিযোগ হামলার খবর পেয়ে পুলিশ এলেও পুলিশের উপস্থিতিতে আবার হামলা চালানো হয়, "হামলা শুরুর পর পুলিশ আসলেও ৪০ মিনিট আলোচনার পর আবারো মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা হয়।”
কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে হিযবুত তাওহীদকে ‘নিষিদ্ধ' বা ‘কালো তালিকাভুক্ত' লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাদের সংগঠনটি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদারের পুত্র বায়জিদ খান পন্নী ১৯৯৭ সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। আমাদের বর্তমান ইমাম হুসাইন মোহাম্মদ সেলিম।”