Khaleda Zia: We would like to take part in the elections
১৩ নভেম্বর ২০০৮বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে দেয়া এই সাক্ষাত্কারে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, জরুরি অবস্থা তুলে না দিলে কোন ভাবেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না৷
তিনি বলেন, আমরা বলছি আমরা ইলেকশন চাই, সিলেকশন নয়৷ সে জন্য আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি এবং নির্বাচনে অংশ নিতে চাই এবং দেশের মানুষকে এই সরকারের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই৷
খালেদা জিয়া বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সামাজিক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহু ধরনের অবনতি হয়েছে৷
তিনি বলেন, এই তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষে রূপান্তরিত করেছে৷ দেশকে রাজনীতি শূন্য করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে৷
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, তাদের বাস্তব রূপ হচ্ছে চালের দাম ৪০ টাকা৷ কর্মসংস্থানে নিম্নমুখিতা এবং দেশজুড়ে সার্বিক অনিশ্চয়তার কারণে আগামী নির্বাচনে আমাদের শ্লোগান হবে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাচাঁও৷
বেগম খালেদা জিয়া পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ার প্রতি অভিযোগ এনে বলেছেন, টাইম ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকা তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে৷ তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমা মিডিয়া পরে তাদের পার্টির বিরুদ্ধে বিরূপ প্রচারণা শুরু করে৷ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন আপনারা উন্নয়নকামী একটি দেশের উন্নতিকে ২০ বছর পিছিয়ে দিলেন?
আগামী নির্বাচনে আপনারা কি অংশ নিচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাবে বেগম জিয়া বলেন, এই সরকার যে অবস্থা করেছে সে অবস্থা উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন৷ সে জন্য নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই৷ এ কাজের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড দরকার৷ আর সরকারকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে এবং জরুরি অবস্থা তুলে নিতে হবে৷