আবারো ঝুঁকির মুখে ইরাকের নিরাপত্তা
২৭ জুন ২০০৯২০০৩ সালে ইরাকে অভিযান শুরু করার পর বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার৷ আগামী ৩০ জুন থেকে মার্কিন বাহিনী ইরাকের প্রধান শহরগুলো থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবে এবং সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব ইরাকি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে৷ আগামী ২০১২ সালে ইরাক থেকে সরে আসার যে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ৷ ঘোষণাকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে ইরাকে সহিংসতা বেশ কমে আসার কথা জানিয়েছিলেন৷
কিন্তু গত কযেকদিন ধরে ইরাকের পরিস্থিতি আবার সেই আগের দিকেই মোড় নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে৷ বুধবার বাগদাদের সদর সিটিতে এক বোমা হামলায় প্রাণ হারায় ৭৮ জন, তার আগের দিন কিরকুকে ট্রাক বোমা হামলায় মারা যায় আরো ৭৩ জন৷ সর্বশেষ গতকাল বাগদাদে এক বোমা হামলায় মারা গিয়েছে অন্তত ১৮ জন৷ মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এত প্রাণহানির ফলে প্রশ্ন উঠেছে: মার্কিন বাহিনী সরে যাওয়ার পর বড় শহরগুলোতে কি ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে? তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিন্তু তার আগের অবস্থানেই রয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে তিনি জানিয়েছেন যে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ঠিকই উন্নতি হচ্ছে৷ তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন৷ রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন৷
এদিকে বাগদাদে একের পর এক হামলার জন্য ইরাকি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, শিয়া-সুন্নির বিরোধ চাঙ্গা করতেই এই হামলাগুলো চালানো হয়েছে৷ অপরদিকে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে দখলদার বাহিনী এসব হামলার পেছনে রয়েছে কিনা সেরকম প্রশ্নও উঠেছে৷ মার্কিন বিরোধী শিয়াপন্থী নেতা মুকতাদা আল সদর গত কয়েকদিনের হামলার পেছনে মার্কিন বাহিনীর জড়িত থাকার দাবী তুলেছেন৷ একই সঙ্গে তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন ইরাকের বর্তমান প্রশাসনের৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী