আবারো উত্তাল কাশ্মীর উপত্যকা
১১ আগস্ট ২০০৮জম্মু-কাশ্মীরে অমরনাথ জমি বিবাদ নিয়ে অচলাবস্থার দেড় মাসও কাটলো না৷ অমরনাথ সংঘর্ষ সমিতির কথিত অর্থনৈতিক অবরোধের বিরুদ্ধে কাশ্মীর উপত্যকার হাজার হাজার ফল ব্যবসায়ী সোমবার শ্রীনগর-মুজাফফরাবাদ রুটে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অভিযান শুরু করে৷ তাতে সামিল হয় হুরিয়াত ও পিডিপি৷
বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে এগোবার চেষ্টা করলে, সেখানকার পুলিশ ও আধা সামরিকবাহিনী তাদের বাঁধা দেয়৷ ফল-বিক্রেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে আধা সামরিকবাহিনী প্রথমে লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে৷ পরে অবশ্য গুলি চালাতেও বাধ্য হয় পুলিশ৷ সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও প্রায় ২০ জন আহত হয়৷ নিহতদের মধ্যে একজন হুরিয়াত নেতা আছেন বলেও প্রকাশ৷
এই মৃত্যুর খবরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকার অন্যান্য স্থানে৷ কারফিউ জারি করা হয় বারামুলায়৷ পুলিশ শ্রীনগরের ফলের বাজারও সিল করে দেয়৷ এছাড়াও, মুজাফফরাবাদগামী ৩০-টি ট্রাক আটক করে তারা৷ আটক হয় প্রায় ১০০ জন ফল ব্যবসায়ীও৷ তবে এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের সরকার এ অঞ্চলের বাইরে পণ্য পাঠানোর জন্য প্রায় ৫০-টি ট্রাক নামিয়েছে৷
এদিকে, অমরনাথ সংঘর্ষ সমিতির জনৈক সদস্য বলেন, যে তাদের জমি ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে৷ সরকার ব্যবস্থা নিতে কেন এতো দেরী করছে - তা ঐ সদস্যের মতো অনেকেরই বোধগম্য নয়৷
অন্যদিকে, রাজধানী নতুন দিল্লীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসে এক সর্বদলীয় বৈঠক৷ তবে এরপরও কাশ্মীর উপত্যকার এই সমস্যার কোন সমাধান করা যায় নি৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যটিকে হিন্দু ভোট ও মুসলিম ভোটে ভাগ করতে চাইছে৷ যার মোকাবিলা করতে না পারলে দেখা দেবে এক রাজনৈতিক সংকট৷