আফ্রিকা ও জাতিসংঘের সংস্কার
৪ আগস্ট ২০০৫��ষ্যেই শীর্ষ-বৈঠকে আলোচনা হবে৷
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পরিকল্পিত সংস্কারে জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিল এবং আফ্রিকা নিরাপত্তা পরিষদে ছয়টি নতুন স্থায়ী আসন দাবী করেছে৷ এগুলোর মধ্যে দুটি পাওয়ার কথা আফ্রিকার দুটি রাষ্ট্র৷ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সম্পর্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই৷ এর আগেই যাতে আফ্রিকা এবং চার জাতির গোষ্ঠী একটা যৌথ নীতি-অবস্থান গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যেই শীর্ষ-বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে৷ দুই পক্ষই তাদের যৌথ প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময় করবে৷ আফ্রিকার নীতি-অবস্থান, পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জার্মানির স্থায়ী আসন লাভের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করবে৷
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ সম্পর্কে উভয় পক্ষই আগ্রহী৷ তবে তাদের মধ্যে ভেটো প্রয়োগের অধিকার নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য৷ আফ্রিকা ইউনিয়ন এ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে আফ্রিকার জন্য দুটি স্থায়ী আসন এবং মোট ছয়টি নতুন স্থায়ী প্রতিনিধির পূর্ণ ভেটো প্রয়োগের অধিকার দাবী করেছে৷ কিন্তু জাতিসংঘে এই দাবির ওপরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাবে না৷ তাই চার দেশের গোষ্ঠী জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিল আফ্রিকা ইউনিয়নকে প্রস্তাব দিয়েছে তাদের এই প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নিয়ে একটা যৌথ প্রস্তাব পেশ করতে একমত হওয়ার জন্য৷
আফ্রিকা ইউনিয়ন এ পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আসনের জন্য কোন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নি৷ তবে দক্ষিণ আফ্রকা, নাইজেরিয়া এবং মিশর হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী৷ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বিশেষ শীর্ষ-বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাইজেরিয়ার অনুরোধে৷ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সদস্য সংখ্যা হচ্ছে পনেরো৷ এগুলোর মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং তাদের রয়েছে ভেটো প্রয়োগের অধিকার৷
এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কিত সম্প্রসারণ সম্পর্কে চার জাতির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একমত৷ জাতিসংঘে সদ্য নিযুক্ত মার্কিন রাষট্রদূত জন বল্টন এর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে এক বৈঠকের পর জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং গুয়াংগিয়া বলেন, জার্মানি, জাপান, ভারত ও ব্রাজিলের প্রস্তাবটি জাতিসংঘের ১৯১টি সদস্যরাষ্ট্রের মাঝে বিভক্তি ঘটাবে৷
আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠানরত বিশেষ শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন কমপক্ষে আটজন প্রেসিডেন্ট, আটজন সরকার প্রধান এবং উনিশজন মন্ত্রী৷
বার্লিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গতকালের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করে নি৷ চীন কিছুতেই চায় না জাপান নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ লাভ করুক৷ অন্যদিকে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে নয়৷