আফ্রিকার কয়েকটি বিখ্যাত মসজিদ
ঘানার লারাবঙ্গা মসজিদকে পশ্চিম আফ্রিকার মক্কা নামে ডাকা হয়৷ এটি সহ আফ্রিকার আরও আটটি বিখ্যাত মসজিদের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
মাসালিকুল জিনান মসজিদ, সেনেগাল
এটি পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ৷ ২০১৯ সালে উদ্বোধন হওয়া এই মসজিদের ভেতরে-বাইরে মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন৷ উনিশ শতকের কবি শেখ আহমাদু বামবা এমবাকের একটি কবিতার শিরোনাম থেকে এই মসজিদের নাম নেয়া হয়েছে৷ ‘মাসালিকুল জিনান’ মানে হচ্ছে স্বর্গে যাওয়ার পথ৷ আহমাদু বামবা একজন সুফি সন্ত ছিলেন৷ তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘মুরিদ ব্রাদারহুড’ ২৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছে৷
দ্য গ্রেট মস্ক অফ কায়রুয়ান, টিউনিশিয়া
সম্ভবত আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ এটি৷ ৬৭০ সালে আরব জেনারেল আকবা ইবনে নাফি এটি তৈরি করেছিলেন৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ কায়রুয়ান এলাকায় এটি অবস্থিত৷ মসজিদের নকশায় ইসলামপূর্ব, রোমান ও বাইজেন্টাইন স্থাপত্যের মিলন ঘটেছে৷
লারাবঙ্গা মসজিদ, ঘানা
এই মসজিদকে পশ্চিম আফ্রিকার মক্কা নামেও ডাকা হয়৷ ১৪২১ সালে নির্মিত মসজিদটি ঘানার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ৷
দ্য গ্রেট মস্ক অফ তুবা, সেনেগাল
মুরিদ ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা আহমাদু বামবা ১৮৮৭ সালে এই মসজিদটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন৷ তবে নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে৷ তার আগে ১৯২৭ সালে বামবা মারা গেলে তাঁকে ঐ মসজিদের ভেতরে কবর দেয়া হয়৷ তুবা মসজিদকে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর মসজিদ বলে বিবেচনা করা হয়৷
দ্য গ্রেট মস্ক অফ জেনি, মালি
মাটির ইট দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এটি৷ ১৯০৭ সালে এটি নির্মাণ করা হয়৷ প্রাকৃতিক কারণে মসজিদের যে অবক্ষয় হয় তা সংস্কারে প্রতিবছর একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ জেনি এলাকার সবাই এতে অংশ নেন৷
আবুজা জাতীয় মসজিদ, নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ার জাতীয় এই মসজিদটি ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করা হয়৷ নামাজের সময় ছাড়া অমুসলিমরাও এই মসজিদে যেতে পারেন৷ এর অবস্থান জাতীয় খ্রিষ্টান কেন্দ্রের ঠিক উলটো দিকে৷
উগান্ডা জাতীয় মসজিদ
আধুনিক স্থাপত্যের ধারক এই মসজিদটি ২০০৬ সালে উদ্বোধন করা হয়৷ লিবিয়ায় সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির উদ্যোগে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল৷ পরে তাঁর নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল৷ গাদ্দাফির মৃত্যুর পর এর নাম বদল করা হয়৷
দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, মরক্কো
সাবেক রাজা দ্বিতীয় হাসানের ৬০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে মরক্কোর কাসাব্লাংকায় এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়৷ ১৯৯৩ সালে এর কাজ শেষ হয়৷ কিছুদিন আগেও এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ ছিল৷
জামা আল জাজেইর, আলজিয়ার্স
সাত বছর ধরে নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়৷ ব্যয় হয়েছে আট হাজার ৪৫১ কোটি টাকার বেশি৷ জার্মান স্থপতিরা এর নকশা করেছেন৷ তৈরি করেছে চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন৷ আর অর্থ দিয়েছে আলজেরিয়ার সরকার৷ মসজিদের মিনারটি ২৬৫ মিটার উঁচু৷ ফলে আফ্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘ ভবন এটি৷
ইনেকে মুলস/জেডএইচ