আফ্রিকার কঙ্গোয় আগামীকাল নির্বাচনঃ নিরাপত্তা বাহিনী সতর্কাবস্থায়
২৮ জুলাই ২০০৬��ময় চার ব্যক্তির প্রাণহানী ঘটেছে৷
গত বৃহস্পতিবার কিনশাসায় নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে যে চার জন মারা গেছে তাদের মধ্যে রয়েছে তিন জন পুলিশ৷ প্রায় কুড়ি ব্যক্তি আহত হয়েছে৷ কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনের পরিচালক আলব্রেশ্ট কোন্জে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এতদিনের অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারাভিযান যেন সহিংসতায় রুপান্তরিত না হয়৷
জেনারেল আমিসি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংযত থাকতে৷ তিনি বলেন, আগামী রবিবারের নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে যাতে ভোট দিতে পারেন সৈন্যদের সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে৷ ৩৩ জন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মধ্যে যে-ই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হোন না কেন সেনাবাহিনী তাঁকে সমর্থন করবে৷ তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়োসেফ কাবিলারই প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ উল্লেখ্য যে, কাবিলা হলেন আফ্রিকার কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট৷
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি সংসদীয় গোষ্ঠী গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এর নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ গোষ্ঠীর নেতা জার্মানির ইয়্যুর্গেন শ্রোয়ডার গতকাল রাজধানী কিনশাসায় এ কথা জানান৷ তবে সাংসদরা বলেন, নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় মিডিয়ায় সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পান নি৷ এরপরও তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, আগামীকালের নির্বাচন সফল হবে৷ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন ইইউ এর প্রায় তিনশ বিশেষজ্ঞ৷
জাতিসংঘের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কঙ্গোয় দুই হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে৷ এদের মধ্যে জার্মানির সৈন্য সংখ্যা হচ্ছে ৭৮০৷ জার্মানির ক্ষমতাসীন সিডিইউ-সিএসইউ দলের প্রতিরক্ষা বিষেষজ্ঞ ব্যার্নড সিব্যার্ট বলেন, জার্মান সৈন্যরা কঙ্গোতে থাকবে চার মাস৷ এর চেয়ে বেশি যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এ সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতিসংঘকে৷
কঙ্গোয় পাঁচ বছরের গৃহ-যুদ্ধের পর এবার যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য যে, গৃহ-যুদ্ধের ফলে আনুমানিক চল্লিশ লাখ মানুষ ক্ষুধা এবং রোগে মারা যায়৷