আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে চরম সংকটে নারী ও শিশুরা
সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে আফগানিস্তানে দুই হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়৷ ভূমিকম্পের ফলে সবচেয়ে বেশি সংকটে নারী এবং শিশুরা৷
নিহত অন্তত দুই হাজার
৭ অক্টোবরের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল৷ জাতিসংঘের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন৷ ভূমিকম্পে সেসব এলাকার অন্তত দেড় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্তও হন৷
নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু
বার্তা সংস্থা এপির এক হিসেবে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহতের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু৷ সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পে নিহতদের ৯০ ভাগই নারী এবং শিশু৷ ভূমিকম্পের সময়টিতে নারী ও শিশুরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বলে নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
জরুরি সহায়তা দরকার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিওএইচও জানায়, হেরাত প্রদেশসহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন৷ শীত ঘনিয়ে আসায় সেখানে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ জনাকীর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা এই মানুষগুলোর জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ওয়ুধসহ নানা ধরনের মানবিক সহযোগিতা প্রয়োজন৷
সাত হাজার অন্তঃসত্ত্বা
ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত হাজার অন্তঃসত্ত্বাও রয়েছেন৷ তাদের বেশিরভাগই ভূমিকম্পে পরিবার-পরিজন হারিয়েছেন৷ পরিস্থিতি সামলাতে জরুরি ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে ডাব্লিউএইচও৷ ক্ষতিগ্রস্ত এই অঞ্চলের ৪০টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে৷ আরো বেশ কয়েকটি প্রায় অচল৷
ক্ষতির মুখে ৯৬ হাজার শিশু
ইউনিসেফ জানায়, ভূমিকম্পের পর আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ৯৬ হাজার শিশুর মানবিক সহযোগিতা প্রয়োজন৷ এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে৷
খাদ্যের অভাবে শিশুরা
স্বেচ্ছাসেবী এবং হেরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক লেকচারার নিলুফার নিকসেয়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখানে এখন সবকিছুরই ঘাটতি৷ বেবি ফর্মুলা (শিশুখাদ্য), কফ সিরাপ এবং সেনেটারি প্যাডের ঘাটতি রয়েছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেছি৷ সেখানে অনেক বাড়ি-ঘর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে৷’’
শবনম ফন হাইন/আরআর