আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনী - তালেবান পাল্টাপাল্টি হামলা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ফারাহ প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ স্থানীয় গভর্নর রুহুল আমিন জানান তালেবান জঙ্গিরা বালা বুলক জেলায় জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচীর একটি গাড়ি বহরে হামলা চালায়৷ ওই বহরের পাহারায় নিযুক্ত ছিল আফগান এবং মার্কিন সেনারা৷ তালেবান হামলায় সাতজন আফগান সেনা এবং তিনজন মার্কিন সেনা প্রাণ হারায়৷ এই হামলার পরপরই মার্কিন বাহিনী ওই এলাকায় পাল্টা বিমান হামলা চালায়৷ স্থানীয় সেনা মুখপাত্র আবদুল বাশির ঘোরি জানিয়েছেন চার ঘন্টার যুদ্ধে প্রায় অর্ধশত তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে৷ তিনি বলেন, এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবান জঙ্গিরা৷ তাই আমরা বলতে পারি না যে নিহতদের মধ্যে কোন তালেবান কমান্ডার নেই৷ উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আফগান সেনা আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবদুল বাশির ঘোরি৷ এদিকে বালা বুলক জেলার পুলিশ প্রধান আবদুল রউফ আহমাদি জানিয়েছেন যে তালেবান জঙ্গিদের ছোড়া রকেট ওই এলাকার স্পিন মসজিদের কাছে একটি বাড়িতে আঘাত হানলে দুই কিশোরী নিহত হয়েছে৷
আফগানিস্তানের দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলে তালেবান প্রভাব বেশি থাকলেও সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চলেও তারা তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে৷ এদিকে নির্বাচনে আবারও কারচুপির অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্যতম প্রার্থী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ৷ এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই পক্ষপাতিত্বের দোষে অভিযুক্ত করেছেন তিনি৷ কারচুপির ব্যাপারে তিনি বলেন, যেসব অভিযোগ এসেছে এখন পর্যন্ত সেগুলোকে আমলে নেওয়া হয়নি এবং সেগুলোর কোন সুরাহাও করা হয়নি৷ এবং এইসব হাজার হাজার ভুতুড়ে ভোটকেন্দ্রে লাখ লাখ ভোট রয়েছে৷
উল্লেখ্য কোন প্রার্থী যদি শতকরা ৫০ ভাগ ভোট না পান তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনের নিয়ম রয়েছে৷ তবে শীতকাল আসন্ন হওয়ায় এই নির্বাচন আগামী গ্রীস্মের আগে হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই৷ ইতিমধ্যে ৯৫ ভাগ ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই শতকরা ৫৪ ভাগ ভোট পেয়েছেন অপরদিকে আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ পেয়েছেন শতকরা ২৮ ভাগ ভোট৷ তবে ব্যাপক কারচুপির প্রমাণ পাওয়ার কথা নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ স্বীকার করায় এই ফলাফল কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে৷ আফগানিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এবং অব্যাহত তালেবানি তৎপরতা দেশটির ভবিষ্যতে এখন অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার