আফগানিস্তানের প্রাক-নির্বাচন নিরাপত্তা পরিস্থিতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০০৫তালেবানদের চরম হুমকি সত্বেও গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে রকম বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই৷ কিন্তু আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের সংসদীয় নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হতে পারবে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়৷ কারণ দেশটিতে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷ তালেবানরা এখনো সক্রিয়৷ সত্যি বলতে কি, তাদেরকে আজও পর্যুদস্ত করা সম্ভব হয় নি৷ তাই দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে৷ রাজধানী কাবুল থেকে প্রতিদিন শত শত পুলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে -যাতে নির্বাচন সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে৷
নির্বাচনের আগে আফগানিস্তানের প্রধান সমস্যা হল নিরাপত্তা সমস্যা- তালেবান সমস্যা৷ কারণ দুই হাজার এক সালে তাদের পদচ্যূতির পর থেকে তারা আফগান সরকারী বাহিনী এবং মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে৷ কিন্তু পুলিশের একজন কমান্ডার গতকাল বলেছেন, তাঁর বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত তাদেরকে মোকাবেলার জন্য৷ জেনারেল আটমার কাবুল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, কোন ঘটনা ঘটবে না তা বলা মুশকিল৷ তিনি বলেন, আমাদের শত্রু রয়েছে৷ তবে আমরা যেকোন ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম৷
দীর্ঘ পঁচিশ বছরের সংঘাতের পর সংসদীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে আফগানিস্তানে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা অর্জন বিষয়ক পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্ব৷
নাটো এর নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনী চারটি সি-১৩০ পরিবহণ বিমানে বিভিন্ন প্রদেশে মোতায়েনের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পরিবহণ করছে৷
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, গোটা দেশে পুলিশ ২৬ হাজার নির্বাচনী কেন্দ্রের পাহারায় থাকবে৷ এ ছাড়া, আফগান সেনাবাহিনী এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীও সদা প্রস্তুত থাকবে৷ আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েনরত৷ এদের বেশির ভাগই নির্বাচনের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত৷ এছাড়া, সে দেশটিতে রয়েছে নাটো এর নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর দশ হাজার সদস্য৷
এক হাজারেরও বেশি মানুষ- যাদের অধিকাংশই বিদ্রোহী, নিহত হয়েছে এ বছর আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আসার পর এটাই হচ্ছে তাদের সবচেয়ে খারাপ সময়৷