আটকে পড়া বেসামরিক লোকজনকে নিরাপত্তা দেবে শ্রীলংকা
৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯এদিকে শ্রীলংকার উত্তর পূর্বাঞ্চলে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের নৌ সদর দফতর দখল করে নেয়ার দাবী করার পাশাপাশি কয়েক ঘন্টার লড়াইয়ে, ৪ জন বিদ্রোহী নেতা সহ ১৪ জন তামিল বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলেও দাবী করেছে শ্রীলংকার সেনাবাহিনী, এই খবর দিয়েছে সি এন এন৷ চালাইয়ে দুপক্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধায় এই লড়াই শুরু হয়৷ এই দিন মুল্লাইতিভুর বিদ্রোহী ঘাঁটী থেকে সৈন্যরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং হ্যান্ড গ্রেনেডসহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে৷ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘাঁটীগুলোর মধ্যে একটি রাতা ইউনিটের৷ এই ইউনিটটি বিদ্রোহী নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, চাল্লাই ঘাঁটীটি সৈন্যরা দখল করে নেয়ার অর্থ, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপকুল বরাবর কেবল ২০ কিলোমিটার এলাকা এখন বিদ্রোহীদের দখলে থাকলো৷
এর আগে সরকারের তরফ থেকে যুদ্ধ বিরতীর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা হয়৷ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোথাভাইয়া রাজাপাকসে লড়াই অবসানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন৷
এদিকে দুপক্ষের তুমুল লড়াইয়ের মাঝখানে আটকে পরা বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার ব্যাপারে জাতিসংঘকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শ্রীলংকার সরকার৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধরত এলাকাগুলোতে প্রায় আড়াই লাখ বেসামরিক লোক অরক্ষিতভাবে আটকা পরেছে৷ শ্রীলংকার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশাধিকারের জন্যে সাহায্য সংস্থাগুলো আবেদন জানানো অব্যাহত রেখেছে৷ শুক্রবার শ্রীলংকার রাষ্ট্রীয় রেডিওতে বলা হয়েছে, দেশটির যুদ্ধ এলাকায় তামিল টাইগারদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে আড়াই হাজারেরও বেশী বেসামরিক লোক পালিয়ে এসেছে৷
অন্যদিকে শ্রীলংকার রাজধানী কলোম্বোতে অবস্থিত রেড ক্রসের কার্যালয়ে শুক্রবার একদল লোক পাথর ছুড়ে হামলা চালিয়েছে৷ জানা গেছে, চলমান লড়াইয়ে বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে রেডক্রস প্যানিক সৃষ্টি করছে বলে সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করার পর এই হামলা চালানো হয়৷