নেলসন ম্যান্ডেলা
১৮ জুলাই ২০১২দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ তাদের প্রিয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে ডাকে ‘মাদিবা' নামে৷ সেই মাদিবা'র জন্মদিন বুধবার৷ তাই উৎসবে মেতেছে পুরো দেশ৷
তবে এসব অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না ম্যান্ডেলা৷ কারণ, বয়স৷ বর্তমানে নিজ গ্রাম কুনুতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সারাটা দিন কাটান মাদিবা৷ জন্মদিনটাও সেরকমই কেটেছে৷ তবে বিশেষ দিন বলে দুপুরের খাবারে ছিল ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবারের আয়োজন৷
ম্যান্ডেলাকে সর্বশেষ জনসম্মুখে দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে৷ সেটা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে৷
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন জন্মদিনের আগের দিন মঙ্গলবার কুনুতে গিয়ে ম্যান্ডেলাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন৷ এরপর ক্লিন্টন বলেন, ম্যান্ডেলা যখন ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কালো প্রেসিডেন্ট হন, তখন তিনিও প্রেসিডেন্ট ছিলেন৷ ফলে একসঙ্গে কাজ করতে পেরেছেন তাঁরা৷ এজন্য নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন বলেও জানান ক্লিন্টন৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট না থাকার সময়ও দু'জনে মিলে সারা বিশ্বের শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন তাঁরা৷
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামাও ম্যান্ডেলাকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যে কোনো বিচারেই ম্যান্ডেলা তাঁর দেশ, অঞ্চল এমনকি বিশ্বের ইতিহাসে পরিবর্তন এনেছেন৷
ম্যান্ডেলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অ্যামেরিকার বিখ্যাত ‘কালো' গলফ খেলোয়াড় টাইগার উডস৷ আর বিজ্ঞানী মহল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো প্রজাতির কাঠঠোকরার নাম রেখেছেন ম্যান্ডেলার নামে৷
দক্ষিণ আফ্রিকার ১২ বছরের এক স্কুল শিক্ষার্থী মাসুনলোয়ানে বলেছে, ‘‘আমরা মাদিবা'র জন্মদিন পালন করছি, কারণ তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন৷ আমাদের মঙ্গলের জন্য যুদ্ধ করেছেন৷ তিনি তাঁর জীবনের ২৭টা বছর কারাগারে কাটিয়েছেন৷ এ জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই৷''
সারা বিশ্ব থেকে নিজের জন্মদিনে মানুষের এত ভালবাসার প্রতিক্রিয়ায় ম্যান্ডেলা শুধু এটুকুই বলেছেন যে, তাঁকে সম্মান জানাতে হলে মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে৷ তাতেই তিনি খুশি হবেন৷
জেডএইচ / ডিজি (এএফপি)