অলিম্পিকে আইস হকিতে নজর কেনিয়ার!
আন্তর্জাতিক আইস হকি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। তাদের নজর এখন অলিম্পিক গেমসে! অবাক হচ্ছেন? বিশ্বের অন্যতম উষ্ণ অঞ্চলের দেশটির বরফের খেলায় সফল হওয়ার বিষয়ে আরো অবাক করা তথ্য থাকছে ছবিঘরে....
পূর্ব আফ্রিকার একমাত্র আইস রিংক
কেনিয়ার কয়েকজন আইস হকিপ্রেমীকে দেখা যাচ্ছে রিংকে। ২০০৬ সালে একঘেয়েমি কাটাতে ক্যানাডিয়ানদের একটি দল নাইরোবির এই রিংক, অর্থাৎ বরফ জমানো মাঠ স্থাপন করেন। পানারি আইস স্কেটিং রিংকই এখনো পর্যন্ত পূর্ব আফ্রিকার একমাত্র আইস রিংক। কেনিয়ার তরুণদের জাতীয় আইস হকি দল ‘আইস লায়ন্স’ সেখানে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেয়।
একাধিক বিজয় উদযাপন
সবুজ ও লাল জার্সি পরা এই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা একটি প্রীতি টুর্নামেন্ট জয়ের আনন্দ উদযাপন করছেন। কেনিয়ানরা আন্তর্জাতিক আইস হকি ফেডারেশনে গৃহীত পঞ্চম আফ্রিকান দল হওয়ার পর গত ২৪ জানুয়ারি এই জয়টি আসে। দলের জন্য যা বড় স্বপ্নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ক্যানাডা থেকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ক্যানাডিয়ান টিম কলবি আইস লায়ন্সের কোচ ও একজন সাবেক আইস হকি রেফারি। দলের খেলোয়াড়দের দৃঢ় মনোবলে তিনি অভিভূত। কলবি বলেন, "তারা কোনো কিছুকেই হালকাভাবে নেয় না।"
শুধুই সামনে চলা
তরুণ খেলোয়াড়রা প্রায়শই আইস রিংক ব্যবহার করার জন্য ১০ ডলার ফি দিতে পারে না। তাই সপ্তাহে একবার ‘আইস লায়ন্স’-এর সদস্যরা নাইরোবি শহরের কেন্দ্রস্থলের একটি পার্কিং লটে শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
অকৃত্রিম উৎসাহ
পূর্ব আফ্রিকার মহানগরের উষ্ণ তাপমাত্রা একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষভাবে রিংকের ব্যবস্থাপনার খরচ অনেক। নাইরোবির হলটি অলিম্পিক আইস রিংকের আকারের মাত্র এক চতুর্থাংশ, তাই দলটি ফাইভ-এ-সাইড খেলতে পারে না। যার পরিবর্তে তারা তিনজন তিনজন খেলোয়াড় ও একজন গোলরক্ষক নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এক দল, এক স্বপ্ন!
দলের অধিনায়ক ৪১ বছর বয়সি বেঞ্জামিন এমবুরু নয় বছর ধরে আইস হকি খেলছেন। পেশায় তিনি একজন স্থপতি এবং তার সতীর্থদের মতো অবসর সময়ে বিনা বেতনেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। এমবুরুর জন্য, আন্তর্জাতিক আইস হকি অ্যাসোসিয়েশনে অন্তর্ভুক্তি অলিম্পিকের পথে একটি ‘বিশাল পদক্ষেপ’।
উলরিকে শ্যুলৎসে/এসএইচ