অপরূপ আলপনায় সেজে উঠেছে কলকাতা
উৎসবে সেজে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। সেজে উঠেছে কলকাতা। হাওড়া ব্রিজ থেকে পুজো-প্যান্ডেল অপরূপ হয়েছে আলপনায়।
হাওড়া ব্রিজে আলপনা
আলপনা শিল্পকে উৎসাহ দিতে সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থা হাওড়া ব্রিজের বুক জুড়ে আঁকলো আলপনা। দুর্গাপুজোর আগেই বিশেষভাবে সেজে উঠল হাওড়া ব্রিজ।
আর্ট কলেজের শিল্পীদের ছোঁয়ায়
সরকারি আর্ট কলেজের প্রায় ৮০ জন শিল্পীর অক্লান্ত পরিশ্রমে আর আঙুলের ছোঁয়ায় হাওড়া ব্রিজ আরও সুন্দর হলো।
পছন্দ করছে মানুষ
হাওড়া ব্রিজের এভাবে সেজে ওঠার মধ্যে অভিনবত্ব খুঁজে পেয়েছে শহরবাসী। কলকাতার গর্বের এক স্থাপত্যের বুকে আলপনার শিল্পকর্মের ছোঁয়া মিশে তা অন্য রূপে সামনে এসেছে। প্রচুর মানুষ এই আলপনা দেখার জন্য হাওড়া ব্রিজে যাচ্ছেন।
চিরাচরিত শিল্পে ফেরা
আলপনার ইতিহাস বহু প্রাচীন। আর এই চিরাচরিত শিল্পমাধ্যম বিভিন্ন মণ্ডপকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। বিভিন্ন প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের আলপনার সাজ দেখে মোহিত হচ্ছেন মানুষ। তা সুন্দর করেছে হাওড়া ব্রিজকেও।
অবন ঠাকুরের পছন্দের
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বরাবর শিল্পে আড়ম্বরের বিপক্ষে ছিলেন। বাংলার আলপনা শিল্পের এই আটপৌরে ঢং তাঁর বড় প্রিয় ছিল।
আলপনার সৌন্দর্য
আলপনাকে মনে করা হতো সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা আলপনা দেখতে সুন্দর। বাড়ির অঙ্গনে হোক বা অন্যত্র, তা আমাদের মন ভরিয়ে দেয়।
নানা ভাবে আলপনা
আলপনা হতে পারে খড়িমাটি দিয়ে। হতে পারে চালের গুড়ো থেকে। এখন তো আলপনা দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের রং ব্যবহার করে।
বিভিন্ন প্যান্ডেলে
কলকাতায় এখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শেষ, অনেক পুজোই মহালয়ার পরে পরেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। শহরের বেশ কিছু পুজো আলপনায় জোর দিয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতার পুজোয়
দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজা মণ্ডপ, যেখানে আলপনায় শুধু সাদা খড়িমাটিই নয়, বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা হয়েছে।
চিরাচরিত পদ্ধতিতে
গোবর নিকোনো দেওয়ালের গায়ে আলপনা দেয়ার প্রাচীন রীতি ফুটে উঠেছে এই পুজো মণ্ডপে।
পার্কের সামনেও
শুধু পুজো মণ্ডপই নয়, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারে একটি পার্কের সামনের পথও আলপনায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে।